পঞ্চগড় হাড়িভাষায় শ্যালিকা দুলাভাইয়ের অনৈতিক সম্পর্ক।অতঃপর শ্রীঘরে

মোঃ সাইদুজ্জামান রেজা, পঞ্চগড়।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাষা ইউনিয়নের পূর্ব খালপাড়া গ্রামের গমির উদ্দীনের কন্যা মোছাঃ ইতি ও সরকারপাড়া গ্রামের সফিজ উদ্দীনের পুত্র জহিরুল ইসলাম ওরফে বড় বাউ দীর্ঘ্য এক বছর যাবত প্রেম ভালোবাসার এক পর্যায়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত তিন দিন যাবত ইতিকে তার দুলাভাই জহিরুল ইসলাম বোদা উপজেলার ফুলতলা গ্রামে গোপনে নিয়ে রাখে। ইতিকে পাওয়া না গেলে ইতির পিতা হাড়িভাষা ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলমকে অবগত করে। এর পর ইতির পরিবার ও গ্রাম পুলিশ হানিফ ইতি ও তার দুলাভাই জহিরুল ইসলামকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ইউপি কার্যালয়ে আটক করে রাখে। এ বিষয় নিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হইলে ইউপি চেয়ারম্যান সদর থানায় খবর দিলে পুলিশ প্রেমিক যুগলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
জানা যায় ইতি একটি অসৎ চরিত্রের মেয়ে। ইতি পূর্বে একই এলাকার আব্দুস সাত্তারের পুত্র শাহাদাতের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়ে হয়রানী করে এবং জরিমানা নেয়। এ বিষয়ে ইতির সাথে কথা বললে ইতি জানায় আমার দুলাভাইয়ের সাথে আমার দীর্ঘদিন যাবত দৈহিক সম্পর্ক রয়েছে। তিন দিন আগে দুলাভাই জহিরুল ইসলাম আমাকে আত্মিয়র বাসায় নিয়ে রাখে সেখান থেকে আমার পরিবারের লোকজন ও গ্রাম পুলিশ হানিফ আমাদের ধরে নিয়ে আসে। ইতি আরও বলে যে, আমার দুলাভাইকে আমি ক্ষমা করে দিয়েছি। হাড়িভাষা ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম জানান যে, জহিরুল ইসলাম ও ইতি খারাপ চরিত্রের মানুষ। ইতি পূর্বেও তাদের অনেক ঘটনা ছিল। এলাকাবাসী যেহেতু তাদের শাস্তি দাবি করে সেহেতু সদর থানায় আমি তাদের হস্তান্তর করেছি। এ বিষয়ে সদর থানার ডিউটি অফিসার মোঃ জুয়েল জানান যে, প্রেমিক যুগলকে ৫৪ ধারায় সন্দেহ মূলক ভাবে আদালতে প্রেরণ করেছি। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।