সিটিজেন জার্নালিজম বিষয়ক সোস্যাল মিডিয়া সংলাপে ভিক্ষুক মুক্ত জেলা গঠন ভিডিও কনফারেন্স

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৮ মার্চ॥
বাংলাদেশে সর্ব প্রথম ভিক্ষুক মুক্ত উপজেলা হলো নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ। এরপর ভিক্ষুকমুক্ত জেলা হিসাবে আখ্যায়িত হয় দক্ষিনাঞ্চলের নড়াইল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনায় সারা দেশকে ভিক্ষুক মুক্ত করার কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
তারই আলোকে ভিক্ষুকমুক্ত কার্যক্রম আওতায় নিয়ে আসা  জামালপুর সহ ৫টি জেলার সঙ্গে জামালপুর হতে ভিডিও কনফারেন্স করলেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিসি) আবুল কালাম আজাদ।  শনিবার দুপুর আড়াইটা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে এই অনুষ্ঠান।
জামালপুরের সঙ্গে এই ভিডিও কনফারেন্সে ভিক্ষুকমুক্ত এলাকা হিসাবে নীলফামারী ও নড়াইল জেলাও সংযুক্ত ছিল। ফলে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলা ও নড়াইল জেলা কি ভাবে কেমন করে ভিক্ষুক মুক্ত হলো এখন তারা কেমন আছে এবং কি করছে তা উপস্থাপন করা হয়।
সিটিজেন জার্নালিজম বিষয়ক সোস্যাল মিডিয়া সংলাপে ভিক্ষুক মুক্ত জেলা গঠনের অভিজ্ঞতা ও করনীয় পর্যালোচনা করা হয়। এতে ভিক্ষুকমুক্ত এলাকার বাস্তব পরিস্থিতি নিয়ে নীলফামারীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকন এ,জে,এম এরশাদ আহসান হাবিব ও কিশোরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা এসএম মেহেদী হাসান এবং নড়াইল জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) সিদ্দিকুর রহমান বিষদ ব্যাখা তুলে ধরেন।
এ সময় নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভিক্ষুকগণ উপস্থিত ছিলেন ভিডিও কনফারেন্সে।
এদের মধ্যে কিশোরীগঞ্জ উপজেলা ভেড়ভেড়ী গ্রামের নবাব আলী, উপজেলা সদর ইউনিয়নের কেশবা গ্রামের জাম্মাদ আলী, রুস্তম আলী, বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের আমিনা বেগম ও গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম গ্রামের বাচ্চানী বেগম ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিসি) আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে প্রশ্ন উত্তরে অংশ নেন। কি ছিলাম এখন কি হয়েছি- আর ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে আজ ডিসি অফিসের রুমে চেয়ারে বসে কথা বলার যে আনন্দ তা তারা ভাষায় প্রকাশ করতে গিয়ে কেঁদে উঠেন। সাকে ভিক্ষুকরা বলেন আমরা এখন নতুন জীবন জীবন খুঁজে পেয়েছি। আমরাই এখন কাউকে ভিক্ষা করতে দেখলে প্রতিবাদী হয়ে উঠি। প্রধানমন্ত্রী সরকার আমাদের বাড়ি তৈরী করে দিয়েছেন। ১০ টাকা কেজী দলের চালের কার্ড দিয়েছে।
অর্থ দিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসার পথ তৈরী করে দিয়েছে। গবাদীপশু দান করে আমাদের স্বাবলম্বী করেছেন। কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় আজ কোন ভিক্ষুক নেই। ভিক্ষা করতাম এক সময় এটি ভাবলে এখন লজ্জা পাই।
ভিডিও কনফারেন্স চলাকালিন নীলফামারী জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানা, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) উম্মে ফাতেমা, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (আইসিটি) সুফল চন্দ্র গোলদার, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শাহজালাল খন্দকার, জেলা তথ্য কর্মকর্তা মোজ্জাম্মেল হক, সাংবাদিক তাহমিন হক ববী, আজিজুল হক বুলু, কিশোরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা এবং ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোগতাগণ। #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7982233019312678028

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item