নীলফামারীতে ৪ এপ্রিল শুরু হবে খানা তথ্য ভান্ডার শুমারী

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ২৭ মার্চ॥ নীলফামারী জেলায় ৪ এপ্রিল শুরু হবে খানা তথ্য ভান্ডার শুমারী। সেটি চলবে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত। ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডাটাবেজের (এনএইচডি) আওতায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে খানা ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
আজ সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা শুমারি ও জরিপ কমিটির অনুষ্ঠিত সভায় ওই তথ্য জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপ-পরিচালক ও নীলফামারী জেলা শুমারির সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু মুসা মোহাম্মদ জঙ্গী, ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানা, জজ আদালতের সরকারী কৌশুলী (জিপি) আলিম উদ্দিন বসুনিয়া, জলঢাকা পৌরসভার মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল ও সৈয়দপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র জিয়াউল হক।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপ-পরিচালক শহিদুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে শুমারি কার্যক্রম পরিচালনায় উপজেলা সমন্বয়কারী, যোনাল কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৩এপ্রিল পর্যন্ত সুপারভাইজার ও গণনাকারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ৪এপ্রিল থেকে শুরু করে ২৩এপ্রিল পর্যন্ত শুমারি কার্যক্রম চলবে। গণনাকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খানার তথ্য সংগ্রহ করবে। কার্যক্রম পরিচালনায় দুইজন জেলা শুমারি সমন্বয়কারীর তত্ববধানে ছয়জন উপজেলা সমন্বয়কারী, ৮৪জন যোনাল কর্মকর্তা, একহাজার জন সুপারভাইজার ও দুই হাজার ৫০০গণনাকারী মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর আয়োজনে শুমারি কার্যক্রমে সহযোগীতা করছে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএস ও ভারতীয় আইটি সংস্থা জিরোক্স।
প্রথম পর্যায়ে রংপুর, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলায় শুমারি কার্যক্রম পরিচালিত হবে।