সাদুল্লাপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দূর্নীতিবাজ কর্মচারী নূর আলম মিয়ার তদন্ত সম্পন্ন

মামুনুর রশিদ মেরাজুল -

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম.টি (ল্যাব:) নূর আলম মিয়ার বিরুদ্ধে করা অভিযোগের তদন্ত সকাল ১১ ঘটিকার সময় সম্পন্ন হয়।  রংপুর বিভাগের পীরগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পঃপঃ ও তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে ডা. মোঃ মোখলেসুর রহমান সরকারসহ মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক , মোঃ রাশেদুল ইসলাম ৩ সদস্য বিশিষ্ট টিম এসে অভিযোগকারীদের কাছ থেকে মৌখিক ও লিখিত জবাব গ্রহণ করেন।
গত ০৪/০৮/২০১৬ইং তারিখে পরিচালক( প্রশাসন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা-১২১২ হতে যাহার  স্মারক নং ডিজিএইচএস/শৃংখলা-১১১/২০১৬/৪১৫১ থেকে এ.টি.এম নূর আলম মিয়া, এম.টি (ল্যাব:) এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত কার্য সম্পন্ন হয়।
অভিযোগকারী হলেন, মোঃ শামছুজ্জোহা প্রামানিক রাঙ্গা, সাদুল্লাপুর আলোকিত সচেতন নাগরিক সংগঠন (সাসনা), কামরুল ইসলাম, শাইফুল মন্ডল, মোছাঃ সাহেরা বেগম, মোছাঃ নুরনাহার বেগম, মোঃ সেকেন্দার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ জলিল আজমীসহ সাদুল্লাপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনসাধারন স্বাক্ষরিত অভিযোগ দাখিল করেন।  
উল্লেখ্য যে, এ.টি.এম নূর আলম মিয়া, এম,টি(ল্যাব:) বিগত ০৩/০৫/২০০০ইং তারিখে অত্র সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, গাইবান্ধায় যোগদান করেন। উক্ত দূর্নীতিবাজ কর্মচারীর বিভিন্ন দূর্নীতির বিষয়ে নভেম্বর/২০১৩ইং মাসে কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় রির্পোট প্রকাশিত হয় এবং এলাকাবাসীর স্বাক্ষরিত আবেদন সাপেক্ষে তিনি ১২/০৫/১৩ইং তারিখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রাজারহাট, কুড়িগ্রাম বদলি হন। ৪/৫ মাস পরেই অদৃশ্যশক্তি বলে তিনি আবারও অত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যোগদান করে খুটিঁগেরে বসেন।
তিনি একজন ফাঁকিবাজ কর্মচারী । হাসপাতাল মূল ফটকের সামনেই , ‘‘ নুসরাত ডায়াগনষ্টিক সেন্টার’’ তাহার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান । পার্শ্বেই তার নিজস্ব বাসা। তিনি অফিসে হাজিরা খাতায় সহি স্বাক্ষর করিয়া তাহার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে যান এবং সরকারী চাকুরীর নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা না করেই মাসের পর মাস এভাবে অফিস ফাঁকি দিয়া সরকারী বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করিয়া আসিতেছিল। কিন্তু সাধারণ হত-দরিদ্র মানুষ হাসপাতালে রোগী নিয়ে গেলেই তিনি তাহার নিজস্ব ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর জন্য বলেন। সেই সাথে নিজের প্রভাব খাটিয়ে এবং দালালদের মাধ্যমে হাসপাতালের রোগীদের নিজের ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান।
এ,টি,এম নূর আলম মিয়া এম,টি(ল্যাব:) উপজেলা শহরের স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ার এবং দীর্ঘ দিন ধরে অত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চাকুরী করার সুবাদে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সরকারী ই.সি.জি ও আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন কর্তৃপক্ষের যোগসাজসে বিভিন্ন অযুহাতে বন্ধ করে রেখেছেন। এতে সরকারী সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে রোগীদের অতিরিক্ত টাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হচ্ছে। এছাড়া এ.টি.এম নূর আলম মিয়া এম.টি (ল্যাব:) হাসপাতালে আসা রোগীদের রোগ নির্ণয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হলে তার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান। তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন না করে নিজের পরিচালিত ডায়াগনষ্টিক সেন্টার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। প্রতিদিন তিনি সরকারী সেবা থেকে সাধারণ রোগীদের বঞ্চিত করে তাদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার যন্ত্রপাতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে থাকা সত্বেও উক্ত কর্মচারী সরকারকে বেকায়দায় ফেলার অপকৌশলে লিপ্ত রয়েছে , অপর দিকে উপজেলার হাজার হাজার মানুষের সরকারী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
উক্ত দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা বর্তমানে  এ,টি,এম নূর আলম মিয়া এম,টি(ল্যাব:) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য হাসপাতালে কর্মরত আছে। সাদুল্লাপুর উপজেলা সচেতন নাগরিকের মনে করেন এই দূর্নীতিবাজ কর্মচারীকে আইনের আওতায় ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী ।

পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 5704529579425720218

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item