হিজরাদের অত্যাচারে ট্রেন যাত্রীরা জিম্মী

এ আই পলাশ :
ট্রেন ভ্রমনে একজন ট্রেন যাত্রীকে যে নিশ্চয়তা দেওয়ার কথা বলে থাকে রেল বিভাগের কর্মকর্তারা সেই কথা গুলোর সাথে বর্তমানে ট্রেন যাত্রীদের নিশ্চয়তার কোন মিল নেই। একজন বিবেকবান মানুষ তার পরিবার-পরিজন নিয়ে ট্রেন ভ্রমন করতে গেলেই নির্দিষ্ট স্থানে পৌছায় পূর্বেই আপনাকে পরিবারে স্ত্রী ছেলে-মেয়ের সামনে নাজেহাল হতে হবে হিজরা সম্প্রদায়ের সদস্যদের হাতে। অথচ প্রশাসনের সদস্য রেল বিভাগের কর্মকর্তা জিআরপি পুলিশের সামনেই এই ঘটনা গুলো ঘটে।জোটবদ্ধ হিজড়ারা প্রতিদিন কোনো না কোনো ট্রেনে আচমকা উঠে যাত্রীদের জিম্মি করে তাদের টাকা দিতে বাধ্য করছে। এদের অশ্নীল অঙ্গভঙ্গির কারণে বিব্রত অবস্থায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।চোরাচালানের পাশাপাশি ট্রেন যাত্রীদের জিম্মি করে গণহারে টাকা-পয়সা আদায় শুরু করে। যাত্রীরা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে যাত্রীদের সামনে তাদের নিজ পরিধেয় পরনের কাপড় পর্যন্ত খুলে ফেলে। যাত্রীরা মানসম্মান বাঁচাতে তাদের চাহিদা মতো টাকা দিয়ে হিজড়াদের বিদায় করতে বাধ্য হয়। প্রত্যক্ষ দর্শী  ও ট্রেন যাত্রী সুত্রে জানা গেছে, নীলফামারীর জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি রেল স্টেশনে প্রতিদিন সকাল ৬.৩০ মিনিটে খুলনা গামী রকেট এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রবেশ করে ৭.১০ মিনিটে খুলনার উদ্দেশ্যে ঠেড়ে যায়। অপরদিকে রাজশাহী গামী তিতুমীর  এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুর ১.৫০ মিনিটে প্রবেশ করে ২.১০ মিনিটে রাশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ঢাকা গামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সন্ধা ৬.২০ মিনিটে চিলাহাটিতে প্রবেশ করে রাত ৯.২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এই ট্রেনগুলোতে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন হিজরা ৫-৬টি গ্রুপের মাধ্যমে ট্রেনের প্রতিটি বগিতে ওঠে ট্রেন যাত্রীদের কাছ থেকে জোড় পূর্বক টাকা আদায় করছে। যদি কোন যাত্রী টাকা না দিতে অপারগতা প্রকাশ করে তাকে পড়তে হয় বিপদে।কোন কারণে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অথবা একটু দেড়ি হলেই নাজেহাল হতে হয়। অনেকে যাত্রী হিজড়া দেখলে ভয়ে আঁৎকে ওঠেন। তাই খুব তাড়াতাড়ি পকেট থেকে বের করে টাকা দিয়ে দেন। টাকা দিতে একটু দেড়ি হলেও তারা অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে। এমনকি ছেলে-মেয়েদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। আর যাত্রীদের কারো কোলে শিশু থাকলে বেশি টাকা আদায়ের জন্য নতুন ভঙ্গিমা শুরু করে ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি করে। এমনকি ওই শিশুকে কোল থেকে জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে নাচানাচি করে। এতে শিশুটি ভয়ে চিৎকার শুরু করে। ফলে বাধ্য হয়ে চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে হয় অভিভাবকদের। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, টাকা আদায়ের জন্য হিজড়ারা এতটাই জঘণ্য আচরণ করে এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে আশপাশের যাত্রীদের সামনে যাত্রীরা লজ্জায় পড়ে যান। অনেক সময় ছেলে-মেয়েদের সামনে মা-বাবাকে অপমান করে। গত শুক্রবার চিলাহাটী থেকে তিতুমির  ট্রেনে করে সৈয়দপুর যান সরকারি কর্মকর্তা ডাবলু সাহেব। তিনি জানান,ট্রেন ছেড়ে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুজন হিজড়া এসে তার কাছে ৫০ টাকা দাবি করেন। টাকা বের করাতে একটু দেড়ি হওয়ায় দুজন হিজড়া অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি শুরু করেন। স্ত্রীর সামনে বেচারা অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়েন। এই হিজরাদের অত্যাচারে কোন সচেতন ব্যাক্তি একবার নাঝেহাল হলে সেই ব্যক্তি আর কোনদিন ট্রেন ভ্রমণের কথাও চিন্তা করবে না। বিশেষ করে এই হিজরারা দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে চোরা কারবারীর সাথে অতপ্রোতভাবে জড়িত। তারা হিলি থেকে বিভিন্ন প্রকার নেশার দ্রব্যের বিভিন্ন চালান এনে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে থাকে। এখানেই তাদের এই অসামাজিক কাজের সীমাবদ্ধ নয়। তারা প্রতিদিন এই ট্রেনগুলোতে ভ্রমণের মাধ্যমে যাত্রীদের কাছ থেকে জোড় পূর্বক চাঁদা আদায়সহ অসামাজিক কার্যকলাপ চালাচেছ। এ ব্যাপারে রেল বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2322339754244409611

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item