সৈয়দপুর শহর উন্নয়নে কতিপয় ব্যসায়ীরাই বাধার কারণের অভিযোগ
https://www.obolokon24.com/2015/10/saidpur_7.html
মোঃ জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
সৈয়দপুরের উন্নয়নে মিউনিসিপ্যাল গর্ভারমেন্ট এন্ড সার্ভিস প্রজেক্ট (এমজিএসপি) কাজে শহরের কতিপয় ব্যবসায়ীরাই বাধার কারণ হয়েছে বলে একাধিক মহলের অভিযোগ। ওয়াল্ড ব্যাংকের দেয়া ১০ কোটি টাকা বরাদ্দের মধ্যে ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যায়ে নির্মিত শহরের ডাঃ শামসুল হক সড়কটি ২৬ ফিট চওড়া হওয়ার কথা থাকলেও সেটি নির্মিত হয়েছে কোন স্থানে ২১ ফিট আবার কোন স্থানে ২২ ফিট পর্যন্ত। কতিপয় ব্যবসায়ী তাদের দখলীয় রাস্তার জায়গা না ছাড়ার কারণে সিডিউল মোতাবেক কাজ করতে ব্যাঘাত হয়েছে বলে ঠিকাদার মাহাবুব আলম এ অভিযোগ করেন। অন্যদিকে ওই সড়কটি নির্মিত হওয়ার সাথে সাথে সড়কের প্রায় ৩ ভাগ জায়গা দখল করে নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এতে করে জনসাধারণের চলাচলে চরম ভোগান্তি হলেও পৌর কর্তৃপ সেদিকে দৃষ্টি দিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র মতে সম্প্রতি ওয়াল্ড ব্যাংকের দেয়া অর্থে সৈয়দপুর শহরের রাস্তাঘাট নালা নদর্মার কাজ শুরু হয় প্রায় জোরে শোরেই। শহরের উন্নয়নের বরাদ্ধকৃত ১০ কোটি টাকার মধ্যে ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যায়ে শহরের থ্যাংকস কথ মুক্তিযোদ্ধা রোড ও ড্রেন, ডাঃ শামসুল সড়ক হতে শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়ক হয়ে ১নং রেল গেট, শেরে বাংলা সড়কে আর,সি,সি ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চলমান এই কাজে ডাঃ শামসুল হক সড়কের কাজ প্রায় ৩ ভাগ শেষ হয়েছে এবং শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়কে ড্রেনের কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু ওয়াল্ড ব্যাংকের দেয়া অর্থে সিডিউল মোতাবেক শহর উন্নয়নে কতিপয় ব্যবসায়ীরাই বাধার কারণ হয়েছে বলে একাধিক সূত্র থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়।
সূত্র মতে যানজট নিরসন ও শহরের স্থায়ী জলবদ্ধতা নিরসনে ওয়াল্ড ব্যাংকের দেয়া ওই বরাদ্ধ। জানজট নিরসনে রাস্তাঘাট চওড়া করা হলেও সেটি অর্ধেকর বেশি ব্যবসায়ীর দখলে চলে গেছে। অন্য দিকে কতিপয় ব্যবসায়ীর কারণে জলবদ্ধতা নিরসনে সঠিক ভাবে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
শহরের বেশ ক’জন ব্যবসায়ী বলেন নগর উন্নয়নে রংপুরের সিটি মেয়র ঝন্টু বড় বড় বিল্ডিং পর্যন্ত গুড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সৈয়দপুর শহর উন্নয়নে পৌর কর্তৃপরে কঠোর হস্তেেপর কমতি রয়েছে। ভোট প্রাপ্তির কথা চিন্তা না করে যদি শহর উন্নয়নে রংপুর সিটি মেয়র ঝন্টুর মত কঠোর ব্যবস্থা নেয়াহত তাহলে ওয়াল্ড ব্যাংকের দেয়া অর্থেই সৈয়দপুরে যেমন যানজট নিরসন হতো তেমনি জলাবদ্ধতা দুর হতো চিরতরে।
কথা হয় সৈয়দপুর পৌর প্যানেল মেয়র জিয়াউল হক জিয়ার সাথে। তিনি বলেন আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে সড়ক দখল বাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনের ওপর নির্মিত সকল দোকান গুড়িয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।