ক্ষুদার জ্বালা সইতে না পেরে গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা
https://www.obolokon24.com/2015/10/kisorgang_15.html
বি,পি,এম,জয়, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধি ॥
ক্ষুদার জ্বালা সইতে না পেরে নিজের গলায় নিজেই ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্ঠা করেছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের মুুদিপাড়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের নীলকান্ত বম্মনের ছেলে চার সন্তানের জনক বিনকাটু বম্মন (৪৫)। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার বিকেলে। খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বড়ভিটা ইউনিয়নের মুদিপাড়া গ্রামের নীলকান্ত বম্মনের দুই ছেলে বড় ছেলে বিনকাটু বম্মন ও ছোট ছেলে কালাচাঁদ বম্মন। বড়ছেলে পেশায় একজন মুদি ব্যবসায়ী। ছোট ছেলে ভ্যান চালক। বড়ভাই বিনকাটুর ৬ সদস্যের পরিবারের সংসার এ সামান্য ব্যবসা দিয়ে চালাতে হিমসিম খাচ্ছিল। কিছুদিন আগে সংসার চালাতে ব্যবসার পুজি খুয়ে ফেলেছেন। স্ত্রী মানুষের বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করে যে চালটুকু পায় তা দিয়ে এক বেলাও পেটপুরে খেতে পারে না। ছোট ভাই বাবা নীলকান্ত বম্মনকে ভুলিয়ে ভালিয়ে জমিটুকু নিজ নামে লিখে নিয়েছে। টানা দুদিন উপোষ থেকে ক্ষুদার জ্বালা সইতে না পেরে নিজ শয়ন ঘরে ঢুকে হাসুয়া দিয়ে গলাকেটে আতœহত্যার চেষ্ঠা করেন। বিনকাটুর স্ত্রী টের পেয়ে চিৎকার দিলে এলাকার লোকজন বিনকাটুকে উদ্ধার করে বড়ভিটা বাজারে গ্রাম ডাক্তার ফরহাদ হোসেনের কাছে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা করে। তার কাটা স্থানে ৫টি সেলাই রয়েছে।
বিনকাটু বম্মন জানায়,দুদিন উপোষ থাকার পর ছোট ছোট বাচ্চাদের দুর্দশা ও নিজের পেটের খুদার জ্বালা সইতে না পেরে নিজের গলা হাসুয়া দিয়ে কেটে আতœহত্যা করতে চেয়েছি। পেটের খুদার যন্ত্রনার চেয়ে গলা কাটা মোটেও কষ্টের নয়।
স্ত্রী জয়ন্তি রানী বলেন,আমার স্বামী ব্যবসার পুজি খুইয়ে প্রায় দুই মাস থেকে বেকার। দিনের পর দিন উপোষ করে তার শরীর হাড্ডিসার হয়ে পরেছে। মানুষের বাড়িতে কৃষিকাজ করতে পারেনা। আমি মানুষের বাড়িতে ঝিইয়ের কাজ করে যেটুকু চাল পাই তা দিয়ে এক বেলাও পেটপুরে খাওয়া হয়না। তাই সে পেটের ক্ষুদা সহ্য করতে না পেরে আতœহত্যা করতে চেয়েছিল।
ওই ওয়ার্ডের মেম্বার বেলাল হোসেন জানায়,বিনকাটু বম্মন পারিবারিক ও উপোষ থাকার যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল।
ওই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদুল ইসলাম বলেন, ক্ষুদার জ্বালা সইতে না পেরে আত্মহত্যার বিষয় স্বীকার করেন।