নাজুক শিক্ষা ব্যবস্থার মডেল ডিমলা বাবুরহাট সরকারী মডেল বিদ্যালয়।

জাহাঙ্গীর আলম রেজা,ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ

নামেই মাত্র বাবুরহাট সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়। সরকারীর সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেও  প্রাথমিক ফলাফলে নাজুক অবস্থা বিদ্যালয়টির। নীলফামারী ডিমলায় সদর ইউনিয়নের প্রান কেন্দ্রে বাবুরহাট মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। বিদ্যালয়টিতে ১২জন মহিলা শিক্ষকসহ কর্মরত রয়েছেন ১৪জন আর শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫শ ৬৩ জন। ২০১৪ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন ৮৬ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ ৫ তো দূরের কথা অকৃতকার্য হয়েছে ১৬ জন পরীক্ষার্থী।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, বাবুরহাট মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়টির এ গ্রেড পেয়েছে ২০জন, এ মাইনাস (-) পেয়েছে ১০ জন, বি গ্রেড পেয়েছে ১৩ জন, সি গ্রেড ২৩ জন, ডি গ্রেড পেয়েছে ৪জন পরীক্ষার্থী। এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে ২০১০ সালের ৮ জুলাই যোগদান করেন মাহফুজার রহমান লেবু। তিনি নিজ প্রভাব প্রভাব খাটিয়ে দির্ঘ ৫ বছর যাবত একমাত্র মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে যোগদানের পর হতে নিজ খেয়াল খুশি অনুযায়ী বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার কারনে ফলাফলের চরম বিপর্যয় ঘটেছে। বাকী সহকারী শিক্ষকগনও শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় গুরুত্ব না দিয়ে চালাচ্ছে নিজ খেয়াল খুশি অনুযায়ী শিক্ষা কায্যক্রম।  উপজেলা শিক্ষা বিভাগের মাত্র ১শ গজ দূরুত্বের মধ্যে অবস্থান বিদ্যালয়টির। অথচ প্রশাসনিক উদাসিনতা আর শিক্ষকদের শিক্ষাদানে ফাঁকির কারনে বিদ্যালয়টি থেকে শতভাগ পাশ তো দুরের কথা একজন পরীক্ষার্থীও বৃত্তি পায়নি। দিনদিন শিক্ষা ব্যবস্থা চরম অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। অথচ দেশের মডেল বিদ্যালয়গুলিকে সরকার দিয়েছেন বাড়তি সুযোগ-সুবিধা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয়ের মহিলা শিক্ষকগন বিদ্যালয়ে কাশের পরিবর্তে আড্ডা, সাংসারিক বিভিন্ন কাজকর্ম নিয়ে খোস গল্পে ব্যস্ত থাকেন। প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান অফিসে বসে থাকনে কখন কোন কাসে শিক্ষকরা কাশ নিতে যাবেন। সেদিকে দৃষ্টি না দেওয়ার কারনে প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের ২/৩টি কাশের পর আর কাশ হয়না। টিফিনের পর বেশিরভাগ শিক্ষকরা বাড়ী থেকে আর ফেরত আসেন না। একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কাসে এসে বই দেখিয়ে দিয়ে স্যারেরা অফিস রুমে চলে যান। যে ২ একজন থাকেন তারা চেয়ারে বসে থেকে শিক্ষার্থীদের পড়াতে বলেন।  এ ব্যাপরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান লেবুর সাথে কথা বলতে চাইলে তার  (০১৭১৮-১৭৭৭৪১) মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা প্রাখমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, বাবুরহাট মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা নাজুক হওয়ার কারনে ফলাফল বির্পজয় ঘটেছে। শিক্ষকরা নিয়মিত কাশ ফাঁকি দেয়ার কারনে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার চরম অবনতি দেখা দিয়েছে। মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়টি থেকে অন্য বিদ্যালয়গুলো শিক্ষা নেয়ার কথা। তার উল্টোটা হচ্ছে এই মডেল বিদ্যালয়টিতে। অত্যন্ত যা দুঃখ জনক। বিষয়টি আমি জেনেছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 6991113014716961783

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item