বাইশটি নির্বাচিত জেলায় - ক্ষুদ্র দুগ্ধ ও মুরগী খামারিদের সহায়ক সেবাদান প্রকল্পটি নীলফামারীতে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।

আনিছুর রহমান মানিক
ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ- বাইশটি নির্বাচিত জেলায় ুদ্র দুগ্ধ ও মুরগী খামারিদের সহায়ক সেবাদান প্রকল্পটি সারা দেশের ন্যায় নীলফামারীতে ও ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এতে ২২জেলার ৪০টি উপজেলার কয়েক হাজার ুদ্র দুগ্ধ ও মুরগী খামারী ও এ প্রকল্পের আওতায় আসায় একদিকে যেমন উন্নত পশু স্বাস্থ্য সেবা তাদের দোরগড়ায় পৌছে দেয়া সম্ভব হয়েছে, তেমনি এ খাত থেকে অর্জিত অর্থ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জোড়ালো ভুমিকা রাখছে।
নীলফামাী সদর ও ডোমার এলাকায় এ প্রকল্পের
আওতায় উপকারভোগীদের সাথে আলাপকালে জানাগেছে, এখন তারা পশু স্বাস্থ্য সেবা অনেকটা বাড়ীতে বসেই পাচ্ছেন। প্রকল্পের সহায়ক সেবাদান কর্মী কমিউনিটি ভ্যাকসিনেটররা উর্দ্ধতন কর্মকর্তার তত্বাবধানে তাদের বাড়ীতে গিয়ে টিকা প্রদান,পশু স্বাস্থ্য পরীা,পশু খাদ্য সম্পর্কিত নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এবিষয়ে পৌর এলাকার ছোট রাউতা গ্রামের খামারী আফছারুল হক প্রতিবেদক কে জানান, এ প্রকল্প এলাকায় চালু হওয়ায় আমরা ঔষধ,পশুখাদ্য সহ পশুর স্বাস্থ্য সেবা ঘড়ে বসেই পাচ্ছি। উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ও এ প্রকল্পের সার্জন খামারীদের ব্যাপরে সর্বদা সচেষ্ট। যে কোন সমস্যা নিয়ে তাদের নিকট গেলে তারা তাৎনিক নিজে অথবা সংশ্লিষ্ট এলাকার দ্বায়িত্বরত কমিউনিটি ভ্যাকসিনেটরদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে তা দ্রুত সমাধান করে থাকেন। এছাড়া পশুর খাদ্য পরীার জন্য নীলফামারীতে একটি পরীাগার আছে। তাতে আমরা পশু খাদ্য পরীার মাধ্যমে খাদ্যের গুনগতমান সম্পর্কে জানতে পারছি। একই এলাকার মুরগী খামারী ফরিদ জানান,আমি এই প্রকল্প থেকে টিকা,ঔষধ,সহ খামার ব্যাবস্থাপনা সম্পর্কিত নানা উপদেশ পেয়ে থাকি। হরিণ চড়া ইউনিয়নের দুগ্ধ খামারী হবিবর রহমান জানান,উপজেলা পর্যায়ে একটি অসুস্থ্য পশুকে বয়ে নিয়ে যাওয়া আমোদের জন্য কষ্টসাধ্য। আমাদের সমস্যা প্রকল্পের সহায়ক সেবাদান কর্মীদের জানালে, তারা উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ও এ প্রকল্পের সার্জনের পরামর্শে তাৎনিক সমাধান দিয়ে থাকেন। এতে আমরা দ্রুত পশু স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছি । ডোমার উপজেলা কমিউনিটি ভ্যাকসিনেটর মোঃ আসাদুজ্জামান(হিল্লোল) বলেন,এধনের প্রকল্প নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। এতে বেকারদের  জন্য যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে তেমনি পশুপাখী পালনকারীদের মাঝে দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে। তবে আমাদের আরো প্রশিন সহ সম্মানী ভাতার পরিমান বৃদ্ধি করা উচিৎ। এবিষয়ে উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুল হক  জানান, ২০১১সালে প্রকল্পটি চালু হওয়ায় এলাকার প্রান্তিক খামারীরা নানা ভাবে উপকৃত হচ্ছে। জনবল সল্পতা নিয়ে যেখানে মানুষের চিকিৎসা সেবা দেয়া সকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ সেখানে এই প্রকল্পটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে পশু চিকিৎসা সেবা পৌছে দেয়ার কাজ করছে।এছাড়া এভিয়ান ইনফুয়েঞ্জা প্রকল্পটি শেষ হলেও বাইশটি নির্বাচিত জেলায় ুদ্র দুগ্ধ ও মুরগী খামারীদের সহায়ক সেবাদান প্রকল্পটির জনবল দিয়ে সার্ভিলেন্স কাজ দতার সাথে করা সম্ভব হয়েছে। এ ধরনের প্রকল্প হঠাৎ করে বন্ধ হলে মুখ থুবরে পরতে পারে উপকারভোগীদের সপ্ন। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রানী সম্পদের গুরুত্ব বিবেচনায় এনে ধরনের প্রকল্প চলামন রাখা বাঞ্চনীয় বলে তিনি মনে করেন।

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item