মাদ্রাসার সুপার কতৃক ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রীর শ্লীলতাহানী

আবু ফাত্তাহ কামাল পাখি,স্টাফ রিপোর্টার- নীলফামারী জেলা সদরের চওড়া বড়গাছা একরামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার সুলতানুল আলমের(৫৫) বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেনীর এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে  । এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় এ ঘটনা ঘটে মাদ্রাসার সুপারের অফিস কক্ষে। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর হাতে লাঞ্চিত এবং ২০ হাজার টাকা মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পায় ওই সুপার।
এলাকাবাসী জানায় ওই মাদ্রাসা সুপার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়ন জামায়াতের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এবং উত্তর চওড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র।অভিযোগে জানা যায় উক্ত ইউনিয়নের আরাজি দোলুয়া গ্রামের ওই ছাত্রীটি চওড়া বড়গাছা একরামিয়া দাখিল মাদ্রাসার মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। মাদ্রাসার উপবৃত্তির নাম নিবন্ধনে মাদ্রাসা সুপার সুলতানুল আলম ২০ টাকা করে আদায় করছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওই ছাত্রীকে অফিস কক্ষে ডেকে নেয় মাদ্রাসার সুপার সুলতানুল আলম। উপবৃত্তির নিবন্ধনের টাকা জমা দিয়েছে কিনা জানতে চাওয়া সময় ছাত্রীকে একা পেয়ে তার শ্লীলতাহানী ঘটনায় সুপার। এ ঘটনায় ছাত্রীটি সুপারের অফিস রুম থেকে বেড়িয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এবং দৌড়ে বাড়ি চলে যেতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে মাদ্রাসা সুপার ওই ছাত্রীর পিছু নিয়ে তার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ছাত্রীটির কাছে ক্ষমা চাইতে থাকে। ছাত্রীটির পিতা দিনমজুর রশিদুল ইসলাম ও মা ফয়জন খাতুন বিষয়টি গ্রামবাসীকে  জানালে এলাকাবাসী সুপারকে আটক করে লাঞ্চিত করে। পরে এলাকার মহৎ প্রধানের হস্তক্ষেপে বেলা তিনটায়  ২০ হাজার টাকা মুচলেকা সহ ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পায় ওই সুপার।এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করে আরো জানায় মাদ্রাসার ৬ মাস পর উপবৃত্তি প্রদানে ছাত্রীদের ৯ শত টাকার পরিবর্তে ৬শত টাকা দিয়ে বাকী তিনশত টাকা ওই সুপার আতœসাত করে আসছে। এ ব্যাপারে মাদ্রাসা সুপার সুলতানুল আলমের সাথে কথা বলা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 1007094148605628640

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item