শিশু হত্যা করে লাশের দেহ ও কবরে বিদ্যুতায়ন

জাহাঙ্গীর আলম রেজা, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি-ঃ নীলফামারীর ডিমলায় পাষন্ড পিতা শিশু বাচ্চাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে হত্যা রহস্য ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য লাশের দেহে ও কবরে বিদ্যুতায়ন করে রেখেছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের নটাবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্বরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, জামায়াতের সক্রীয় সদস্য ও জামায়াতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ডিমলা উপজেলার সাধারন সম্পাদক অপিয়ার রহমানের ছোট ভাই ডিমলা সদর ইউনিয়নের নটাবাড়ী  গ্রামের ইছামুদ্দিনের পুত্র অপিনুর
রহমান(২২) এর সাথে প্রায় ২ বছর পূর্বে বিয়ে হয় পশ্চিম শালহাটী গ্রামের জহিদুল ইসলামের কন্যা পারভিন(২০)। বিয়ের পর হতে স্বামী অপিনুরের পরকিয়ার কারনে প্রায় সময় সংসারে অশান্তি লেগে থাকতো। এক পয্যায় পারভিনের সাথে সংসার না করার সিদ্ধান্ত নেয় অপিনুর। এরই মধ্যে পারভিনের গর্ভে আসে সন্তান তা জেনে অপিনুর আরো হিংশ্র হয়ে উঠে গর্ভের সন্তান নষ্টের জন্য পারভিনকে শারিরীক ও মানষিকভাবে অমানবিক নির্যাতন চালায়। অবশেষে পারভিন ২ ফেব্রুয়ারী পিত্রালয়ে পুত্র সন্তান প্রসব করে। ক দিন পরেই অপিনুর পারভিনকে ফুঁসলিয়ে সন্তানসহ তার বাড়িতে নিয়ে যায়। ২৩ মার্চ গভীর রাতে পারভিনকে গোয়াল ঘরে আটকিয়ে রেখে নীজ সন্তান(৫১দিন)কে গলাটিপে হত্যা করে পাষন্ড পিতা অপিনুর, বড় ভাই অপিয়ার ও মাতা আসমা বেগম। মৃত্যু নিশ্চিতের পর পারভিনকে গোয়াল ঘর থেকে নিয়ে এসে মৃত সন্তানকে কোলে দেয় স্বামী অপিনুর ও ভাসুর অপিয়ার। এ সময় পারভিন সন্তানের মৃত্যুও বিষয়টি বুঝতে পেরে চিৎকার করার চেষ্টা করলে। স্বামী ভাসুর ও শশুড় বাড়ীর লোকজন তাকেও মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। পরদিন সন্তান অসুস্থ্য হয়ে মারা গিয়েছে বলে প্রচার চালিয়ে ,উপজেলা জামায়াতের সুরা ও কর্মপরিষদের সদস্য, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ও খালিশা চাপানী আইনুল হক ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমানকে নিয়ে থানা পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে শশুড় বাড়ী ও গ্রামের প্রতিবাদী লোকজনদের জামায়াতের ক্যাডারদের দিয়ে জিম্মি করে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তরিঘরি মৃত সন্তানকে দাফন করে। লাশের শরীরে ও কবরে বিদ্যুতায়ন করে প্রায় ২ মাস ধরে কবর পাহারা দিয়ে রাখে। সন্তান হত্যার বিষয়টি প্রকাশ পেলে শুক্রবার থেকে অপিনুর বড় ভাই অপিয়ার ও মাতা আসমাসহ বাড়ীর লোকজন গা ঢাকা দেয়। এলাকাবাসীর দাবী ওই নিষ্পাপ শিশুটির লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করলেই মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য বেড়িয়ে আসবে।
ডিমলা,নীলফামারী।

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item