মিরজাগঞ্জে শিক্ষকের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে বন্ধ
https://www.obolokon24.com/2015/03/-post17_6.html
আনিছুর রহমান মানিক
ডোমার(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ- নীলফামারীর
ডোমারে শিক্ষক ও সাংবাদিকের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেলো ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী ইতি। ঘটনাটি ঘটেছে,
উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের মিরজাগঞ্জ হাট সংলগ্ন স্কুলপাড়া গ্রামে। উক্ত গ্রামের ইসমাইল হোসেনের কন্যা মিরজাগঞ্জ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর
ছাত্রী ইতি বেগম (১৪) সাথে একই গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র শফিকুল ইসলাম(২০) সঙ্গে
১৬মার্চ রাতে বিয়ের কথা ছিল। কথা যখন ঠিক দাওয়াত
পত্র বিলি করা চলছে।
বর শফিকুলের মা মনিরা বেগম ছেলের বিয়ের দাওয়াত
পত্র নিয়ে ১৪মার্চ মিরজাগঞ্জ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এএসএম আব্দুল কাদেরের কাছে বিয়ের দাওয়াত পত্র দিতে গেলে প্রধান
শিক্ষক তারই স্কুলের ৭ম শ্রেনীর সাথে বিয়ের পত্র দেখে অবাক হয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে ইতি ও শফিকুলের বাবা মাকে বিদ্যালয়ে ডেকে বিয়ে বন্ধের
কথা বলে।অনেক বোঝানোর পরেও বিয়ে বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছেনা। তারা পরিকল্পিত ভাবে গোপনে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায়। শেষে তাদের পরিকল্পনা বুঝতে পেরে শিক্ষক সাংবাদিককে খবর দিলে সকলে মিলে সংশিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মফিজুল হক ও চেয়ারম্যান
মনোয়ার হোসেনকে জানানে শিক্ষক,সাংবাদিক,চেয়ারম্যান মেম্বার
সকলে তাদের বাড়ীতে গিয়ে অনেক বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করা সম্ভব হয়। পরে তাদের আতœীয় স্বজনকে ফোনকরে বিয়ে বন্ধের কথা জানায়। বাল্য বিয়ে বন্ধ হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের এলাকায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সচেতন নাগরিকদের
এগিয়ে আসার আহবান জানান এবং এর জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।