জলঢাকায় বাল্য বিয়ে নিয়ে তোলপাড়,অবশেষে রক্ষা পেল পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী


নির্ণয়,নীলফামারী-
করেনাকালিন চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে বুধবার(২৮ জুলাই/২০২১) মধ্যরাতে জোড়পূর্বক পঞ্চম শ্রেনীর এক ছাত্রীর বাল্য বিয়ের আয়োজন চলছিল নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের খচিমাতা গ্রামে। খবর পেয়ে রাতেই শিশু মেয়েটির বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে ছুটে যায় তিন ভাই সহ এক বোন। এ সময় বরপক্ষের লোকজন তাদের মারপিট করে গাছে বেধে রেখে বিয়ের আয়োজনের তোড়জোড় করছিল। বিয়ে করবেনা বলে আত্নচিৎকার করছিল পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীটি। অবশেষে খবর পেয়ে ইউএনও, পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে বাল্য বিয়ের আয়োজকরা পালিয়ে যায়।

 বৃহস্পতিবার(২৯ জুলাই/২০২১) এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের শিমুলবাড়ি গ্রামের মৃত নছুউদ্দিনের মেয়ে পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী আসমা একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী ধর্মপাল ইউনিয়নের খচিমাতা গ্রামে নানী সুফিয়া বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে থাকা অবস্থায় মেয়েটিকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় একই গ্রামের আজিম ইসলামের ছেলে মনজুরুল ইসলাম(১৮)। এতে শিশু মেয়েটির মামা শফিউর রহমান রাজি হয়ে ভাগ্নির বিয়ের আয়োজন করে। কিন্তু মেয়েটির পরিবারকে কোন খবর না দিয়ে বুধবার রাতে চলছিল বিয়ের আয়োজন। এ অবস্থায় বিয়ে করবেনা বলে কান্নাকাটি করতে থাকে মেয়েটি। গ্রামের এক ব্যাক্তি রাতেই খবরটি মেয়েটির পরিবারের কাছে পৌছে দিলে মেয়েটির তিন ভাই ও এক বোন ছুটে আসে। তারা বাল্য বিয়ে বন্ধ করার জন্য চাপ দিলে বরপক্ষের লোকজন তাদের মারপিট করে গাছের সঙ্গে বেধে রেখে বাল্য বিয়ের আয়োজন করতে থাকে। এক পর্যায় খবরটি পেয়ে যান জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান, ধর্মপাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিয়ার রহমান, ও জলঢাকার মীরগঞ্জ পুলিশের তদন্ত কেন্দ্র। 

এলাকাবাসী জানায় রাতেই প্রশাসনের লোকজন সহ পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে এলে বরসহ বরের লোকজন মেয়ের মামা ও  নানী পালিয়ে যায়। এ সময় পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী ও  গাছে বেধে রাখা তার পঞ্চম শ্রেনীর  তিন ভাই ও বোনকে উদ্ধার করা হয়। এতে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পায় আসমা।

মেয়েটি বড় ভাই আইজ উদ্দিন বলেন ওরা আমাদের অনুমতি ছাড়াই আমার পঞ্চম শ্রেনী পড়–য়া বোনের জোড়পূর্বক বাল্য বিয়ে দিচ্ছিল। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের মারপিট ও গাছে বেধে রাখে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।  

ধর্মপাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিয়ার রহমান বলেন যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা সকলে পালিয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তদন্ত করেছে। 

জলঢাকা ইউএনও বলেন যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার প্রস্তুতি চলছে।#


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8084394218035340889

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item