বীরগঞ্জে মাছ ধরার উৎসবে মেতেছে শিক্ষার্থীরা


হাসান জুয়েল,বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি \-
দেশে কৃষিতে যুক্ত হয়েছে যান্ত্রিকরণ। ফলে গরুর বদলে ট্রাক্টর দিয়ে চলছে জমি চাষাবাদ। জমি চাষের সময় ট্রাক্টর লাঙ্গলের ফলায় ভেসে উঠে আসে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। আর এ সব মাছ ধরার উৎসবে মেতেছে করোনায় ঘর বন্দি শিশু শিক্ষার্থীরা। কাঁদা মাটিতে শিশুদের কচি পায়ের স্পর্শে মুখরিত বিস্তীর্ণ মাঠের এই দৃশ্য দেখে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছেন উপস্থিত অনেক কৃষক। তাই মাছ ধরার উৎসবে মাতোয়ারা শিশুদের বাধা দিচ্ছেন না অভিভাবকরাও। উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা জুড়ে এখন এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ তাই প্রতিদিন মাঠে দল বেধে মাছ ধরতে যায় বলে জানিয়েছেন শিশুরা।


উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের কোমরপুর ইউনিয়নের কোমরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র রাকেশ রায় জানান, স্কুল বন্ধ তাই জমিতে চাষ দেওয়ার সময় ট্রাক্টরের শব্দে আমরা দর বেধে মাঠে ছুটে যাই। জমিতে নেমে কত মাছ কুড়াতে পারে এ নিয়ে আমাদের মাঝে প্রতিযোগীতা চলে। প্রতিদিন সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত আনুমানিক প্রায় এক কেজি বিভিন্ন জাতের মাছ নিয়ে বাড়ী ফিরে আসি।


একই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র কমলা কান্ত রায় জানান, করোনা কারণে দুরে কোথায় যেতে পারি না। তাই বাড়ীর পাশে জমিতে বন্ধুদের সাথে মাছ ধরতে যাই। মাছ নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে অনেকে আমাদের কাছে মাছ কিনে নিতে চায়। কিন্তু আমরা বাড়ীর জন্য মাছ ধরি। আমরা মাছ ধরে বাড়ীতে নিয়ে আসায় বাজার থেকে আর কিনতে হয় না।


শিক্ষার্থীদের অভিভাবক দশরথ রায় বাবুল জানান, বর্ষাকালে কাঁদা মাটিতে মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠে আমাদের গ্রামীণ জনপদের মানুষ। এটি আমাদের আহবমান বাংলার সংস্কৃতি। কিন্তু করোনার কারণে এ দৃশ্য খুব একটা চোখে পড়ে না। বিশেষ করে আমাদের শিশুরা এ সব উৎসব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। করোনা কারণে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিশুরা ঘরবন্দি। তবে এই মাছ ধরার উৎসব তাদের বন্দি জীবনে কিছুটা আনন্দের সঞ্চার হয়েছে। এ সব উৎসব শিশুদের মানসিক প্রশান্তির খোড়াক জোগাবে। এতে করে তাদের মনের অস্থিরতা কমবে।


পুরোনো সংবাদ

দিনাজপুর 6663227122998232044

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item