ডোমারে ওয়ার্ডবয় দিয়ে অ্যানাস্থেসিয়া প্রয়োগের অভিযোগ: প্রসূতির মৃত্যু
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় লিপি আক্তার (২০) নামের এক প্রসূতির ওয়ার্ডবয় দিয়ে সিজারের সময় অ্যানাস্থেসিয়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। বুধবার (২৬ মে) রাত আট টার দিকে উপজেলার পদ্মা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনাটি ঘটে। সিজার করেন ময়মনসিংহ জেলার ঈশ^রগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ফারজানা আফরিন। নিজ কর্মস্থলে না গিয়ে ডোমারের বেশী সময় থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
লিপি আক্তার ডোমার পৌরসভার ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মিলন ইসলামে স্ত্রী ও গোমনাতি ইউনিয়নের আমবাড়ি এলাকার রইসুল ইসলামে কন্যা।
লিপির বাবা রইসুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যায় আমার মেয়ে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আমাদের জানায় একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। আর আমার মেয়ের নাকি শ^াসকষ্ট দেখা দিয়েছে। ক্লিনিকের লোকজন একটি মাইক্রোবাসে আমার মেয়েকে তুলে রংপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের জানায়। শ^াসকষ্ট হলে অক্সিজেন কেন দেওয়া হচ্ছে না জানতে চাইলে, তারা জানায় অক্সিজেন লাগবে না। রংপুর মেডিকেল চত্ত্বরে আমাদের রেখে পদ্মা ক্লিনিকের লোকজন আমাদের নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। আমার মেয়ের অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে বলে রংপুর মেডিকেল হতে আমাদের নিশ্চিত করে।
তিনি অভিযোগ করে জানান, সিজারের সময় জিয়া হোসেন নামের ক্লিনিকের এক ওয়ার্ড বয় অ্যানাস্থেসিয়া দেওয়ায় আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
ওয়ার্ড বয় জিয়া হোসেন সাংবাদিকদের দেখে দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়। তার সেলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নাই।
ময়মনসিংহ জেলার ঈশ^রগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ফারজানা আফরিন সাক্ষাতে কথা বলবো বলে তার সেলফোন কেটে দেয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পারিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী জানান, বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ক্লিনিকটি রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করেছে। এখনো রেজিষ্ট্রেশন পায়নি ক্লিনিকটি।
ঈশ^রগজ্ঞ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল হুদা খান বলেন, ডাক্তার ফারজানা আফরিন মাঝে মধ্যে কাজে ফাঁকি দেয়। তবে গত সপ্তাহে তিনি উপস্থিত ছিলেন। ওয়ার্ডবয় কোনভাবেই অ্যানাস্থেসিয়া দিতে পারে পারে না।