ফলন ও দাম দুটোয় ভাল, সোনালি হাসি ফুটেছে ৫০ হাজার কৃষক পরিবারের মুখে


মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে গ্রামে গ্রামে চলছে ধান ও  ভুট্টা মাড়াইয়ের মহোৎসব। চলতি বছরে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। পাশাপাশি সোনালি ফসল  ভুট্টা ও ধানের ফলন ও বাজারমুল্য দুটোয়  ভাল থাকায় সোনালি হাসি ফুঁটেছে ৫০ হাজার কৃষক পরিবারের মুখে।
এদিকে উপজেলা কৃষি দপ্তরের দাবি করোনাকালিন সময়েও মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাগন কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শসহ সার্বক্ষনিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখায়  উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।


উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে রবি মৌসুমে  নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১১ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হলেও অর্জিত হয়েছে ১১ হাজার ১৩০ হেক্টর। অপর দিকে ভুট্টা চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল ৩ হাজার ২শ হেক্টর অর্জিত হয়েছে ৩ হাজার ২৩০ হেক্টর। এ উপজেলায় খাদ্যের চাহিদা রয়েছে ৩০ হাজার ৫শ মেট্রিকটন সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উৎপাদিত হয়েছে ৭০ হাজার ১শ মেট্রিকটন। ফলে চাহিদার চেয়ে  উৎপাদন ৩৯ হাজার ৩৫০ মেট্রিকটন বেশি। এদিকে ৩ হাজার ২৩০ হেক্টরে ভুট্টার ফলন হয়েছে ৩২ হাজার ৮৬৫ মেট্রিকটন। কৃষি অফিসের হিসাব মতে ৭০ হাজার ১৩০ মেট্রিকটন ধানের বর্তমান বাজার মুল্য (বেসরকারী) ১২৬ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা। অপর দিকে ৩২ হাজার ৮৬৫ মেট্রিকটন ভুট্টার বর্তমান বাজার মুল্য ৪৩ কোটি ৫৪ লাখ ৬১ হাজার টাকা।


বুধবার সরেজমিনে কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ভুট্টাচাষী খলিলুর রহমানের ভুট্টাক্ষেতে গিয়ে দেখা যায় তিনি কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে ভুট্টাক্ষেত উত্তোলন করছেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, এবার আমি ৯০ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। ভুট্টা চাষে আমার খরচ প্রতিবিঘায় ৭ হাজার টাকা হিসাবে তিনবিঘায় ২১ হাজার টাকা। বর্তমানে আমার তিনবিঘা জমিতে ৯০ থেকে ১২০ মন পর্যন্ত ভুট্টা হতে পারে। আমি আসল বাদে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাভ করার আশা করছি।
বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন শ্রমিক নিচু জমিতে বুক বরাবর পানিতে নেমে ধান কর্তন করছেন। এসময় শ্রমিকরা জানান, ভাই জমিটা নিচু হওয়ার কারনে এখানে শুধু চারা রোপন করে গিয়েছিলাম  কোন ধরনের নিরানী কিংবা সেচের প্রয়োজন হয়নি। বর্তমানে ৪৫ শতক জমির ধান কাঁটতে ১৪ জন শ্রমিক বাবদ ৪২শ টাকার চুক্তি করেছি। আশা করছি ৪৫ শতক জমিতে ৪৫ মন কিংবা তার বেশি ধান পাব। যার বাজারমুল্য ২২ হাজার টাকা।
কিশোরগঞ্জ বাজারের ধান ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন বলেন, বাহিরে ধানের চাহিদা বেশি থাকার কারনে কাঁচা ধান ১৭ থেকে ১৮ টাকা কেজি দরে এবং ভুট্টা ১৩ টাকা কেজি দরে ক্রয় করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, এবার রবি মৌসুমে করোনা কালিন সময়ে সরকারী প্রণোদনার আওতায় ১৫ শ কৃষকের মাঝে বিনামুল্যে সার ও ভুট্টার বীজ এবং ৫ হাজার ৫ শ জন কৃষককে ধানবীজ ও সার সম্পুন্ন বিনামুল্যে বিতরন করা হয়েছে। পাশাপাশি রংপুর বিভাগ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৫৭ টি পাওয়ার থ্রেসার এবং ১৩ টি রিপারসহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি বিনামুল্যে বিতরন করা হয়েছে। এ সমস্ত যন্ত্রের কারনে শ্রমিকের সংকট দুর হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষক বেশি লাভবান হবে। তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগনের সঠিক পরামর্শ কৃষকরা গ্রহন করায় এবার ফলন বেশি হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1253072543719367206

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item