প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সৈয়দপুর থেকে ধান কাটার জন্য প্রথম দফায় ১৪ কৃষি শ্রমিককে নাটোরে প্রেরণ
তোফাজ্জল হোসেন লুতু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা থেকে বিভিন্ন জেলায় জরুরীভিত্তিতে ইরি-বোরা ধান কাটার জন্য কৃষি শ্রমিক পাঠানো শুরু হয়েছে। রবিবার (১৮ এপ্রিল) নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা থেকে ধান কাটার জন্য প্রথম দফা ১৪ জন কৃষি শ্রমিককে একটি মাইক্রোবাসে করে নাটোরের সিংড়া উপজেলায় প্রেরণ করা হয়।
রবিবার বেলা ১১ টায় সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ কার্যালয় চত্বর থেকে ধান কাটার জন্য ১৪ জন কৃষি শ্রমিককে নিয়ে একটি মাইক্রোবাস নাটোরের সিংড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর আগে মাইক্রোবাসযোগে ইরি-বোরা ধান কাটার জন্য কৃষি শ্রমিকদের নওগাঁ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে তাদের কাছে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কৃষি অফিসারের যৌথ স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যায়নপত্র প্রদান করা হয়েছে। সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিনের উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাসিম আহমেদ ধান কাটা কৃষি শ্রমিক দলনেতার হাতে প্রত্যায়নপত্রটি হস্তান্তর করেন। এছাড়াও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ধান কাটা কৃষি শ্রমিকদের মুখে ব্যবহারের জন্য সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রত্যেক শ্রমিককে একটি করে মাস্ক দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন শ্রমিকদের হাতে ওই মাস্ক তুলে দেন। এ সময় সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাসিম আহমেদ, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাহিনা বেগম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মমতা সাহা ও কৃষিবিদ মো. সালাহউদ্দিনসহ উপজেলা প্রশাশন ও কৃষি বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রথম দফা ধান কাটার জন্য যে ১৪ জন কৃষি শ্রমিককে নাটোরে পাঠানো হয়েছে তার সকলেই সৈয়দপুর উপজেলার ৫ নম্বর খাতামধুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়রাম্যান ও সদস্যদের মাধ্যমে কৃষি বিভাগ শ্রমিকদের তালিকা সংগ্রহ করেন।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহিনা বেগম জানান, প্রথম দফায় গতকাল ১৪ জন ধান কাটার জন্য কৃষি শ্রমিককে নাটোরের সিংড়া উপজেলায় প্রেরণ করা হয়। এখন থেকে পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রয়োজন অনুযায়ী ধান কাটা শ্রমিকদের পাঠানো অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ইরি-বোরা’র ভর মৌসুম। আর ইতোমধ্যে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় আগাম জাতের ইরি-বোরা ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। কিন্তু চলমান বৈশ্বিক মহামারি প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে দেশব্যাপী চলছে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন। এতে করে সকল যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ রয়েছে। এত করে দেশের উত্তর জনপদের শ্রমিকরা যানবাহন বন্ধ থাকায় ধান কাটাতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো যেতে পারছেন না। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন জেলায় জরুরীভিত্তিতে ইরি-বোরা ধান কাটার জন্য কৃষি শ্রমিক প্রেরণের নিদের্শনা দিয়েছেন। আর প্রধানমন্ত্রীর ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নে বিভিন্ন জেলায় জরুরীভিত্তিতে চলতি ইরি-বোরা মৌসুমে ধান কাটা শ্রমিক পাঠানো শুরু হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় নীরফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের সহযোগিতায় উপজেলা কৃষি বিভাগ উপজেলা থেকে বিভিন্ন জেলায় ধান কাটার জন্য শ্রমিক প্রেরণের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।