কৃষকের ধান কাটতে নীলফামারী জেলা থেকে শ্রমিক প্রেরণ শুরু
নির্ণয় নীলফামারী- করোনা ভাইরাসের কারনে সরকারের জারি করা লকডাউনের কারনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উঠতি বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য নীলফামারীতে থেকে শ্রমিক পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন,উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় স্থানীয় কৃষি বিভাগ আজ সোমবার(১৯ এপ্রিল/২০২১) থেকে শ্রমিক পাঠানোর কার্যক্রম শুরু করে। প্রথম দিন জেলার ডোমার ও সৈয়দপুর থেকে ২০৯ জন শ্রমিক রওনা দেয়। এই জেলা থেকে প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক পর্যায়ক্রমে প্রেরণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানানো হয়।
যে সকল শ্রমিক বোরো ধান কাটাই মাড়াইয়ের জন্য দেশের বিভিন্নস্থানে যাচ্ছেন তাদের স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর প্রত্যায়ন পত্র প্রদান করছেন স্থানীয় প্রশাসন।
সোমাবর দুপুরে ডোমার উপজেলা হতে ১২টি মাইক্রোবাসে করে ১৯৫ জন কৃষি শ্রমিক ধান কাটতে আত্রাই, নওগাঁ, সান্তাহার ও নোয়াখালির উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
কৃষি শ্রমিক নুরনবী ইসলাম (৩১) জানান, লকডাউনে কোন কাজ নাই। তাই আমরা এলাকার কর্মহীন যুবকরা একত্রিত হয়ে নওগাঁ যাচ্ছি। আশাকরি ধান কেটে নিজের ও পরিবারের খরচ বাদে কিছুটা সঞ্চয় হবে। অপর কৃষি শ্রমিক সাজেদুল ইসলাম (৩৩) জানান, আমরা ১৬ জনের একটি দল আত্রাই রওনা হয়েছে। সেখানে তিন হাজার টাকা মজুরিতে প্রতি বিঘা জমির ধান কাটবো আমরা। প্রতিদিন প্রায় চার বিঘার মতো ধান টাকা যাবে। এতে একজনের প্রতিদিন সাত শত টাকার মতো আয় হবে। আর যার জমিতে ধান কাটবো, সেই কৃষক আমাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করবেন।
অপর দিকে সৈয়দপুর উপজেলা থেকে ১৪ জন শ্রমিক প্রেরণ করা হয়েছে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলায়।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, লকডাউনে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা সরকারি ব্যবস্থাপনায় মাইক্রোবাসে বিভিন্নস্থানে উঠতি বোরো ধান কাটাই মাড়াইয়ের জন্য শ্রমিক প্রেরণ শুরু করেছি। তিনি বলেন, ধান কাটাই মাড়াই করতে বিভিন্নস্থানে যে শ্রমিকরা যেতে চায় তাদের উপজেলা প্রশাসনের তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। শ্রমিক প্রেরনে স্থানীয় কৃষি বিভাগের আয়োজনে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সহযোগীতা করছে। আমরা আশা করি এই জেলা হতে প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক বোরোধান কাটাই মাড়াইয়ের জন্য বিভিন্নস্থানে যাবেন। #