খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে অনিয়মে জলঢাকায় এক ডিলারের ২০ হাজার টাকা জরিমানা
নির্ণয়,নীলফামারী॥ জেলার জলঢাকা উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগে আব্দুল জলিল নামের এক খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার(২৩ মার্চ/২০২১) দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান ওই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
অভিযোগ মতে উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধবের ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রয়ের সময় অভিযুক্ত ডিলারের গুদামে প্রয়োজনীয় চালের চেয়ে ৩০ কেজি ওজনের ১৭ বস্তা চাল কম পাওয়া যায়। অভিযোগ ওই ডিলার সেই চাল কালোবাজারে বিক্রি করে। তাকে ওই জরিমানা করা হয়।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় বছরে ৫ বার (মার্চ থেকে নবেম্বর) জলঢাকা উপজেলায় ৫০ জন পরিবেশকের মাধ্যমে ২৫ হাজার ২০৩ জন কার্ডধারী ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল উত্তোলন করে আসছে।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুলতানুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির পরিবেশক আব্দুল জলিলের গুদাম থেকে চাল বিক্রয়ের সময় নির্ধারিত মজুদ থেকে ৩০ কেজি ওজনের ১৭ বস্তা চাল কম পাওয়া গেছে। তিনি ১৮ মার্চ আমার কার্যালয় থেকে উক্ত ডিলার ১৫ দশমিক ১২০ মেট্রিক টন ৩০ কেজি ওজনের ৫০৪ বস্তা চাল বিক্রয়ের জন্য উত্তোলন করেন। অভিযুক্ত আব্দুল জলিল অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মাস্টাররোলের রেজিস্ট্রার বহিতে টিপসহি ও তারিখ না থাকার কারণে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ইউএনও স্যার আমাকে জরিমানা করেছেন।
এ বিষয়ে কথা বললে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান বলেন, রেজিস্ট্রারের সঙ্গে চালের বস্তা মজুদের গড়মিল পাওয়া যায়। এমন অনিয়মের কারনে ওই পরিবেশককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। #