নীলফামারীতে ধর্ষন মামলায় গৃহশিক্ষকের যাবজ্জীবন ও যৌতুকের নির্যাতনে স্বামীর ৭ বছরের কারাদন্ড


ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী॥
নীলফামারীতে ধর্ষন মামলায় গৃহশিক্ষককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের জেল ও যৌতুক এবং নির্যাতনের মামলায় স্বামীর ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাস কারাগারে থাকার আদেশ দিয়েছে আদালত।বৃহস্পতিবার(১১ ফেব্রুয়ারী/২০২১) বিকাল সাড়ে ৪টায় পৃথক দুই মামলার আসামীদের অনুপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষনা করেন নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. আহসান তারেক। 

মামলা সংক্ষিপ্ত বিবরনীতে জানা যায়, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় পূর্ব বেলপুকুর দেড়ানী গ্রামের মৃত খাতির আলীর ছেলে ওয়াজেদ আলী টুকু গৃহশিক্ষক হিসাবে এক দশম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতেন। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ২০০৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী থেকে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে গৃহশিক্ষক ওয়াজেদ আলী টুকু। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী চার মাসের অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে একই বছরের ২৪ জুন মামলা দায়ের করেছিল। দীর্ঘ বিশ বছর পর এই মামলার রায়ে উক্ত গৃহ শিক্ষকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের জেলের আদেশ দিলেন আদালত।

অপরদিকে একই দিন একই বিচারক যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতেন দায়ে স্বামীকে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। সাজাপ্রাপ্ত আব্দুর রাজ্জাক নীলফামারী জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের বিশমুড়ি গ্রামের মৃত কজির উদ্দিনের ছেলে। মামলা দায়ের পর পলাতক রয়েছে আব্দুর  রাজ্জাক। 

 মামলার নথি বিবরণ মতে, ১৯৯৪ সালের ১০ জুলাই নীলফামারী জেলা সদরের বিশমুড়ি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ২০ হাজার টাকা যৌতুক নিয়ে বিয়ে করেন একই উপজেলার ইটাখোলা গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের মেয়ে আয়েশা খাতুনকে। এর পর ২০০২ সালে আরো ১০ হাজার টাকা যৌতুক দাবিতে আয়েশাকে অমানবিক নির্যাতন চালায় স্বামী। এঘটনায় আয়েশা খাতুন বাদী হয়ে ২০০২ সালের ২২ আগস্ট স্বামীর বিরুদ্ধে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ একটি মামলা দায়ের করেছিল। দীর্ঘ ২২ বছর পর আদালত আসামীকে উক্ত সাজা প্রদান করেন। 

ওই আদালতের বিশেষ পিপি রমেন্দ্র নাথ বর্ধন বাপী পৃথক দুই মামলার রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন জানান, মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিকালে ওয়াজেদ আলী টুকুর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (১) ধারা সন্দেহাতীত ভাবে প্রণাতি হওয়ায় তাকে উক্ত ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং যৌতুক মামলায় আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রণাতি হওয়ায় তাকে উক্ত ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা না দিলে তাকে আরো ছয় মাস কারাগারে থাকার আদেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. আহসান তারেক। # 


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2220166427489590250

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item