কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ

  নিজস্ব প্রতনিধি-জমির মালিক উপজেলা পরিষদ, খাজনা বা কর সেটাও পরিশোধ  করেন উপজেলা পরিষদ।  কিন্তু সেই  উপজেলা পরিষদ চত্বরের সরকারী কোটি টাকার সম্পত্তি  দখল করে পাকা  টিনশেট ঘর নির্মান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার। সরকারী জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করায় ঘটনায় এলাকার সচেতন মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।  


গত বৃহস্পতবিার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরের পুরাতন উপজেলা পরিষদ হলুরুমের সাথে ফাঁকা জায়গাটি  টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। এসময় ঘরটির ভিতরে গিয়ে দেখা যায় অন্ধকারে বাল্ব লাগিয়ে দশ থেকে বারোজন নির্মাণ শ্রমিক পাকা ঘরের নির্মাণ কাজ করছেন। 


সরকারী জায়গা দখল করে  বেড়ার ভিতরে কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য দিনরাত সমানভাবে কাজ করছে নির্মাণ শ্রমিকেরা। এসময় নির্মাণ শ্রমিকেরা জানায়, জমি সরকারী না মালিকানাধীন তা আমরা জানিনা। আমাদের কাজে লাগিয়েছেন পুটিমারী ইউনিয়নের দক্ষিন ভেড়ভেড়ী গ্রামের মৃত হাফেজ উদ্দিনের ছেলে সাবেক অবসরপ্রাপ্ত  সরকারী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম। এসময় সিরাজুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি আমার কেনা সম্পত্তিতে ঘর নির্মাণ করছি। পাশাপাশি প্রশাসনিক হয়রানী এড়াতে হাইকোর্টে রিট করেছি। যাহার রিট নম্বর ৪০৯৭।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ আবাসিক এলাকার মোট জমি ২২ একর ৭ শতাংশ।  তার মধ্যে উপজেলা পুরাতন হলরুম সংলগ্ন ৩০২১ দাগে মোট ৯২ শতক জমি রয়েছে। এর মধ্যে ১৯৬৩-৬৪ সালে ভূমি দখল হুকুম মুলে সরকার ৪৫ শতক জমি নিয়ে নেয়। এবং বাকি ৪৭ শতকের মধ্যে ৪৫ শতাংশ জমি গত ৩১/০৫/১৯৬৬ সালে  কেশবা মৈাজার মৃত  ওসমান গনির ছেলে মৃত জয়েনউদ্দিন  মিয়ার কাছ থেকে ৫০৭১/৬৬ দলিল মুলে থানা কাউন্সিল  ক্রয় করে।  বাকি দুই শতক জমি কিশোরগঞ্জ টেংগনমারী সড়কের জন্য ছেড়ে দেয়। কিন্তু ওই জমিতে গত ২০০৯/১০ সালে পিএসসি সাবেক সদস্য মাহফুজার একটি চারতলা ভবন নির্মান করলে ১/১১র সময়  তত্তাবধায়ক সরকারের আমলে সরকার বিল্ডিং নির্মাণ অবৈধ ঘোষনা করে বিল্ডিংটি ভাংগা শুরু করলে পিএসসির সদস্য মাহফুজার রহমানের ভাই মামুনুর রশিদ হাইকোর্টে একটি রিট করলে হাইকোর্টের এক আদেশে ভবন ভাংগা স্থগিত হয়ে যায়। বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে। কিন্তু মামলা চলমান থাকা অবস্থায় চারতলা ভবনের পাশে ফাঁকা জায়গায় নতুন করে পাঁকা ঘর নির্মান শুরু করেন পুটিমারী ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলাম ।

উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মেহেদী হাসান বলেন, উপজেলা পরিষদের জায়গায় ঘর নির্মাণ করার খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যেহেতু জায়গাটি উপজেলা পরিষদের সেহেতু এটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিষয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বিষয়ে সিদ্বান্ত নেবেন। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম বলেন, সরকারী জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সরকারী জমি দখলের সাথে যারা জড়িত  সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান(পুরুষ) কে বাদী করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। 

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম বারী পাইলট বলেন, যারা উপজেলা পরিষদের জমি দখল করে  ঘর নির্মাণ করতে চেয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।  

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8996516839517569675

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item