কিশোরগঞ্জে সংস্কার ও নজরদারীর অভাবে ধ্বংস হতে বসেছে ঐতিহাসিক নিদর্শন ভিমের মায়ের আখা


মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ
সংরক্ষনের অভাবে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন ভিমের মার আখা (ভিমের মায়ের চুলা)। অন্যদিকে প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় এবং অবহেলার কারনে একটি চক্র ভিমের মায়ের চুলার শেষ চিহ্নটুকুর মাটি কেঁটে দেদারছে বিক্রি করলে প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করছে । ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে এ উপজেলার ঐতিহাসিক নিদর্শন। এলাকাবাসী উপজেলার এ ঐতিহাসিক স্থানটি রক্ষাবেক্ষনসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন। 

গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পরিষদ থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে ২০০ মিটার দুরে পুটিমারী ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামে অবস্থিত ভীমের আখা বা (ভিমের মায়ের চুলাটি অবস্থিত) এটি তিন দিক থেকে উঁচু মাটির প্রাচীর দ্বারা বেস্টিত একটি স্থাপনা  যাঁর উপরের তিনটি স্থান অপেক্ষাকৃত উঁচু। এর ভিতরের অংশ গভীর ও বাইরের তিনদিক পরিখা বেস্টিত। ইতিহাসের সাক্ষী এ জায়গাটি অযত্ন ও সংরক্ষনের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে। ধ্বংস হতে চলেছে এর আদি রুপ। পৃথকভাবে নামান্য অংশ পরিত্যক্ত থেকেই জানান দিচ্ছে এর অবস্থান। এসময় আখাটির পুর্বদিকে গিয়ে দেখা যায় একটি ভুমিদস্যু চক্র মাহিন্দ্র ট্রাকে করে মাটি কেঁটে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করছে। 

 স্থানীয় প্রবিণদের কাছ থেকে জানা গেছে, প্রায় কয়েকশ বছর আগে মহাভারতের পঞ্চপান্ডব ভ্রাতাদের মধ্যে দ্বিতীয় ভিম এ জায়গাটিতে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করতেন। ভীমের মা কুন্তিদেবি যুদ্ধে অংশগ্রহকারী যোদ্ধাদের রান্না করে খাওয়ানোর জন্য এখানে একটি চুলা তৈরী করেছিলেন। সেই চুলায় এক সাথে দশহাজার যোদ্ধার জন্য রান্না বান্না করা যেত। পরবর্তীতে ইতিহাসের সাক্ষি স্বুরুপ বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন চুলাটি দেখতে আসেন। কিন্তু একটি চক্র চুলাটির চারদিক থেকে মাটি কেঁটে বিক্রি করার কারনে  এর অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পথে। 

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি ঐতিহাসিক স্থান। কথিত আছে মহাভারতের পঞ্চপান্ডব দ্বিতীয় ভিম এখানে যুদ্ধ করার সময় তাঁর মা যুদ্ধে অংশ নেয়া সৈন্যদের জন্য ইে চুলা তৈরী করেছিলেন। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম জানান, ভিমের মায়ের চুলাটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। সেই সাথে যারা ওই জায়গাটির মাটি কেঁটে বিক্রি করছে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। 

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম বারী পাইলট বলেন, ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করতে গেলে ঐতিহাসিক এ স্থানটি সংস্কারের কোন বিকল্প নেই। আমি বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করব। 


পুরোনো সংবাদ

হাইলাইটস 3461529059253679838

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item