করোনার কারণে স্কুল খুলতে পারছি না : প্রধানমন্ত্রী


অনলাইন ডেস্ক


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল খুলতে পারছি না। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না। এটা বাচ্চাদের জন্য সত্যিই খুব কষ্টের। কারণ ঘরের মধ্যে বসে থেকে কী করবে তারা?’


 আজ সোমবার (৫ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশ্ব শিশু অধিকার দিবস এবং শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।


তিনি বলেন, একটা সমস্যা এখন দেখা দিয়েছে করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল খুলতে পারছি না। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না। এটা বাচ্চাদের জন্য সত্যিই খুব কষ্টের। কারণ ঘরের মধ্যে বসে থেকে কী করবে তারা?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে যৌথ পরিবার আছে। যৌথ পরিবারের শিশুদের খুব একটা কষ্ট হয় না। কারণ নিজের আত্মীয়-স্বজন সকলের সঙ্গে সমবয়সী অনেক পাওয়া যায়। তাদের সঙ্গে মিলেমিশে খেলাধুলা করে খুনসুটি করে ঝগড়া করে আবার একসঙ্গে মিলে খেলাধুলা করে তাদের একটা সুন্দর পরিবেশ থাকে কথা বলার একটা সুযোগ পায়।

এ সময় করোনাকালে শিশুদের আশপাশে পার্কে অন্তত এক ঘণ্টার জন্য ঘুরতে নিয়ে যেতে বাবা-মায়ের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

দেশের প্রতিটি উপজেলায় শিশুদের জন্য মিনি স্টেডিয়াম করে দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ‌্য নিরাপত্তার পাশাপাশি শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণের দিকে আমরা বিশেষ নজর দিয়েছি। খাদ‌্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং স্কুলে ঝরে পড়া বন্ধে ফিডিংয়ের ব‌্যবস্থা করেছি। যাতে তারা স্কুলে থাকে।’

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রতিও নজর দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের চিকিৎসা, বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব‌্যবস্থা এবং এমনকি যারা চোখে দেখতে পারে না তাদের জন‌্য ব্রেইল বই দিচ্ছি। প্রাক প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ‌্যমিক পর্যন্ত আমরা বিনামূল‌্যে বই দিচ্ছি। শারীরিক অসুবিধা থাকলে তারা যেন কারো বোঝা হয়ে না থাকে সেই জন‌্য বিভিন্ন কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি। আমাদের এই শিশুরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভালো করছে। বিশেষ অলিম্পিকে প্রতিবন্ধী শিশুরাই স্বর্ণ জয় করে এনেছে। তারা ২১টি স্বর্ণসহ ৭১টা ট্রফি নিয়ে আসতে পেরেছে। তাদের যে মেধা তা বিকাশে বিশেষ একাডেমি করে দিচ্ছি আমরা।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সমাজের কোনো স্তরের কেউ যেন বাদ না পড়ে সে জন‌্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বৃত্তি আমরা দিচ্ছি। করোনার মধ‌্যেও বৃত্তি উপবৃত্তি পৌঁছে দিচ্ছি। মাল্টিমিডিয়া ক্লাস করে দিচ্ছি। সাংস্কৃতিক চর্চা, খেলাধুলার জন‌্য আমরা প্রত‌্যেকটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতেও কাজ করছি। নানা ধরনের অত‌্যাচার নির্যাতন হলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব‌্যবস্থা নিচ্ছি।’



পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 7947195621127442771

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item