নারায়নগঞ্জের দুই ব্যবসায়ীর পাওনা ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করে দিলেন কিশোরগঞ্জ থানার ওসি


মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ
নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার থানার দুই ব্যবসায়ীর পাওনা ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করে দিলেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল। 

পাওনা টাকা উদ্ধারের পর মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে পুলিশের গাড়ীতে করে ওই দুই ব্যবসায়ীকে রংপুরে নিয়ে গিয়ে নৈশকোচের টিকেট কেঁেট বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এমন মানবিক ঘটনায় পুলিশের ভৃয়সী প্রসংশা করেছেন দুই ব্যবসায়ী। এছাড়াও ওসির এমন অনেক মানবিক কাজের কারনে কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বেড়ে গেছে। অপর দিকে থানায় সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীরা তাৎক্ষনিকভাবে সঠিক ও আইনি সেবা পাওয়ার কারনে পুলিশ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারনা পোষন করছেন। ফলে বাস্তবায়িত হচ্ছে মজিব বর্ষের অঙ্গিকার পুলিশ হবে জনতার, পুলিশই জনতা জনতাই পুলিশ। 

নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার থানার পান্না বাউরীপাড়া গ্রামের সিমেন্ট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম এবং জাঙ্গালিয়া গ্রামের ইট, খোয়া ও বালু ব্যবসায়ী বাছেদ মিয়া বলেন, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের বাসিন্দা জাহেদুল ইসলাম গত ৪ থেকে ৫ মাস আগে নারায়নগঞ্জে এসে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টানে সাব ঠিকাদার হিসাবে কাজ শুরু করেন। সেই সুবাধে জাহেদুল আমাদের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্টান থেকে ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মালামাল বাকিতে ক্রয় করে। পরবর্তীতে সে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিল উত্তোলন করে আমাদের পাওনা টাকা পরিশোধ না করে বাড়িতে চলে আসে। তাঁর সাথে অনেক যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁকে না পেয়ে খোঁজ নিয়ে আমরা কিশোরগঞ্জ থানায় এসে তাঁর নামে এজাহার দায়ের করি। এজাহার দায়েরের পর কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল তাৎক্ষনিক তাঁকে থানায় নিয়ে এসে পাওনা টাকা উদ্ধার করে দেন। এজন্য পুলিশকে একটি টাকাও খরচ দেওয়ার প্রয়োজন পরেনি। সব থানার ওসি যদি এরকম হত তাহলে পুলিশ হত মানুষের ভরসাস্থল। এরকম ভুক্তভোগী রণচন্ডি ইউনিয়নের নুর ইসলাম বলেন, আমার ছেলেকে চাকুরী দেবার নাম করে পুটিমারী ইউনিয়নের বাসিন্দা  আমার শ্যালক আমার কাছে চার বছর আগে ৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। আমার ছেলের চাকুরীতো দুরের কথা শেষে টাকা আদায় করতে পারছিলামনা। পরে বিষয়টি কিশোরগঞ্জ থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানালে তিনি আমার টাকা উদ্ধার করে দেন। এরকম হাজার হাজার মানুষ থানায় এসে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়া প্রকৃত আইনি সেবা পাচ্ছেন। 

কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল বলেন, আমি আমার উপর অর্পিত সরকারী দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র। আমি প্রশংসা পাওয়ার জন্য কোন কাজ করিনা । জনগণকে প্রকৃত আইনি সেবা দেওয়াই আমার দায়িত্ব। তাই পুটিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে অধবু সায়েম লিটনের সহায়তায় ওই দুই ব্যবসায়ীর টাকা আদায় করে দিয়েছি।

নীলফামারী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, বর্তমান আইজিপি স্যার যে নির্দেশনা দিয়েছেন তাঁর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা জনমুখি পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার করছি। তাছাড়া কিশোরগঞ্জ থানার বর্তমান ওসি পরপর দুইবার পুলিশের আনপল মিশন করার কারনে আন্তাজাতিক পরিমন্ডলের অভিঙ্গতা তিনি কাজে লাগাচ্ছেন। 


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4782232248835480418

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item