নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রহস্যজনক চুরি
https://www.obolokon24.com/2020/09/nilphamari_23.html
নৈশ প্রহরী থাকা সর্ত্বেও জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে এই কথিত এই চুরির ঘটনা ঘটে বলে হাসপাতালের অফিস সহকারী বুলবুল আহমেদ জানান।
তিনি বলেন বুধবার সকালে এসে দেখি হাসপাতালের নিচ তলার ক্যাশিয়ার ও অফিস সহকারীর রুমের জানালার গ্রিল ভাঙ্গা। অফিসের ভেতরের ফাইলপত্র ও কাগজাদী সহ অনেক কিছু চোরেরা নিয়ে গেছে। এতে বেশ কিছু টাকাও খোয়াও গেছে বলে জানানো হয়।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মুঠোফোনে খবর পেয়ে বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। ঘটনাটি পরিদর্শন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মামলা দিতে বলা হলেও বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কোন মামলা তারা দেননি। তবে মামলা করবেন বলে তারা জানিয়েছেন।
তবে হাসপাতালের উপজেলা প.প. কর্মকর্তা ডাঃ আবু সফি মাহমুদ বলেন চোরেরা কিকি নিয়ে গেছে আমরা তা খতিয়ে দেখে মামলা দায়ের করবো।
এদিকে অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অফিস সহকারী বুলবুল আহমেদ উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা। তার বাড়ি কালিকাপুর চৌধুরীপাড়া গ্রামে। তার মুল পোষ্টিং পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায়। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় ডিপুটেশনে নিজবাড়ির এলাকা নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ২০১৮ সালে এসে যোগদান করেন। অভিযোগ যোগদানের পর তিনি হাসপাতাল নিয়ন্ত্রনে নেয়। সম্প্রতিকালে উপজেলা হাসপাতালের সংস্কার ও ক্রয় বাবদ প্রায় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। গোপনে নাম সর্বস্ব এক পত্রিকায় দরপত্র প্রকাশ দেখানো হয়। এরপর তিনি নিজের লোকজন দিয়ে নামমাত্র সংস্কার ও ক্রয় দেখান। অভিযোগ মতে ক্যাশিয়ার থাকলেও অফিস সহকারী বুলবুল আহমেদ সকল বিষয় তার কবজায় রেখে চালায়। সংস্কার করার টাকার ভাগবাটোয়া নিয়ে আছে মতভেদ। মোটা অংকের টাকা নাকি অফিস সহকারী বুলবুল আহমেদ তার অফিস রুমের আলমিরাতে রেখেছে বলে সকলকে জানায়। এরপর ঘটে সেই রহস্যজনক চুরির ঘটনাটি।
এ ব্যাপারে নীলফামারী সিভিল সার্জন ডাঃ আলমগীর কবীরের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জানান,ঘটনাটি শুনেছি। আমিও বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।#