ডোমারে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টার মামলা প্রত্যাহার ও ছেলের মুক্তির দাবিতে বাবা-মায়ের সংবাদ সম্মেলন


ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়/আনিছুর রহমান মানিক-


নীলফামারীর ডোমারে কলেজ ছাত্র শাহনেওয়াজ হোসেন অনিকের (২০) বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টার মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তার বাবা-মা সহ পরিবারের সদস্যরা। 

আজ বুধবার(২ সেপ্টেম্বর/২০২০) দুপুরে উপজেলা শহরের বাটার মোড়স্থ রির্পোটার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ওই দাবি জানান তারা। অনিক উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের জামিরবাড়ি শালডাঙ্গা হুজুরপাড়া গ্রামের মো. সাজ্জাদের (৪৫) ছেলে। 

গত ২৪ আগস্ট অনিকসহ তার চাচা, প্রতিবেশী বয়স্ক এক দাদা এবং অপর প্রতিবেশী চাচাকে জড়িয়ে থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন প্রতিবেশী এক নারী। সেদিন ওই মামলায় পুলিশ অনিককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।

সংবাদ সম্মেলনে অনিকের বাবা মো. সাজ্জাদ হোসেন দাবি করে বলেন, প্রতিবেশী রবিউল ইসলাম, সফিকুল ইসলাম, আনিছুর ও ইনছানের সঙ্গে জামিজমা নিয়ে আমার পরিবারের বিরোধ চলছে। এমন বিরোধের জেরে আমি আদালতে মামলা করেছি। সেই মামলা প্রত্যাহারের জন্য তারা আমাকে হুমকি প্রদান করে আসছিল। এমন হুমকি প্রদানের কাজে তাদেরকে সহযোগিতা করছেন একই গ্রামের হেফাজুল ইসলাম (৪২)। এরই জেরে গত ২২ আগস্ট তারা আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিলে আমার ছোটভাই আজাদ হোসেন (৪০) সেদিন পরিবারের পক্ষে থানায় একটি জিডি করে। এতে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৪ আগস্ট রবিউল ইসলামের স্ত্রী পারভীন আক্তারকে (৩২) দিয়ে আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলে অনিক (২০), তার চাচা আজাদ হোসেন, বৃদ্ধ বড় দাদা (দাদার বড়ভাই) মো. ময়নুল ইসলাম (৭০) ও প্রতিবেশী হাফিজুর রহমানকে (৪৫) আসামী করে ধর্ষণের চেষ্টার মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ আমার ছেলেকে সেদিন গ্রেপ্তার করে ২৫ আগস্ট কারাগারে পাঠায়। 

তিনি বলেন, আমার ছেলে ডোমার সরকারী কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র। একটি মিথ্যা অভিযোগে তাকে কারাবাস করতে হচ্ছে। এতে করে তার লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে। পাশপাশি মানষিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সে। আমার ছেলেসহ ওই মামলার সকল আসামী নির্দোষ। তারা আমাকে ঘায়েল করার জন্য আমার ছেলে, ভাইসহ প্রতিবেশী ৭০ বছরের বৃদ্ধকে জড়িয়ে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনার নাটক সাজিয়েছেন। ন্যায় বিচারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি। 

অনিকের মা আজমা বেগম সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙ্গেপড়ে বলেন, একটি ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনার সঙ্গে চাচা-ভাতিজা এবং বৃদ্ধ দাদু একসঙ্গে কীভাবে জড়িত থাকতে পারে ? শত্রুতার বসে ওই নারী সাজানো অভিযোগ করছেন। এমন মিথ্যা মামলায় আমার ছেলেকে জেল খাটানোর বিচার চাই আমি। 

ওই সংবাদ সম্মেলনে অনিকের বাবা মো. সাজ্জাদ সহ মা আজমা বেগম (৪০) ও দাদা ইসরাইল হোসেন (৬৫) উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে কথা হলে মামলার বাদি মোছা. পারভীন আক্তার (৩২) বলেন, তাদের সঙ্গে প্রায় আট মাস আগে মারামারি হয়েছিল। তখন থেকে তারা আমার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। ২৩ আগস্ট রাত ১টার দিকে তারা বাড়িতে এসে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় আমার সঙ্গে আমার তিন মেয়ে ছিল। মেয়েদের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা পালিয়ে যায়। প্রতিবেশী সাজ্জাদ হোসেন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার ছেলে অনিককে আমার ওপর লেলিয়ে দিয়েছে। এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। 

ডোমার থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলন করতেই পারেন। ঘটনার সময় রাতে ওই বাড়িতে চিৎকার হয়েছে, ওই বাড়িতে তিনজন লোক গেছে, পার্শ্ববর্তী লোকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে এটা জানা গেছে। মামলায় ৫০ বছর বয়স উল্লেখ করে বয়স্ক যে ব্যক্তিটিকে আসামী করা হয়েছে তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। পূর্বের জিডির বিষয়টি ওই মুহুর্তে আমার জানা ছিল না। এখন আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। #


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7079015781860639376

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item