ডোমারে ২ এনজিও কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা সেই মোস্তাকিম আটক
https://www.obolokon24.com/2020/08/domar_17.html
নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় ঘটনার আট ঘন্টার মধ্যে আশা এনজিও’র দুই মাঠকর্মীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা সেই মোস্তাকিমকে আটক করেছে ডোমার থানা পুলিশ। রবিবার রাত সাড়ে আট টার দিকে উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের জয়ডাঙ্গা এলাকা হতে তাকে আটক করা হয়েছে। মোস্তাকিম সোনারায় ইউনিয়নের চাকধাপাড়া এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে।
ডোমার থানার অফিসার্স ইনাচর্জ মোঃ মোস্তাফিজার রহমান আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, রবিবার দুপুরে দুই এনজিও কর্মীকে কুপিয়ে জখম করার পর হতে ডোমার থানার পুলিশ চারটি দলে ভাগ হয়ে মোস্তাকিমকে খুঁজতে থাকে। পুলিশ মোস্তাকিমের বর্ণনা দিয়ে চারিদিকে সোর্স লাগিয়ে দেয়। সোর্সেদের তথ্যে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ অভিযান চালালেও মোস্তাকিম পালিয়ে যায়। সে প্রতিনিয়ত তার স্থান পরিবর্তন করতে থাকে। রাত সাড়ে আট টার দিকে মোস্তাকিম জয়ডাঙ্গা এলাকায় অবস্থান করছে পুলিশ সংবাদ পেলে, চারিদিক থেকে পুলিশের সদস্যরা আসতে থাকে। পুলিশকে দেখে মোস্তাকিম রাস্তা থেকে নেমে ধান ক্ষেত দিয়ে দৌড় দেয়। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বদেব রায়, এসআই কমলেশ রায়, এএসআই আনোয়ার হোসেন, মঞ্জুরুল হোসাইন ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, মোস্তাকিমকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরো জানান, এনজিও কর্মীদের কোপানোর পর পরেই ডোমার থানার পুলিশ সদস্যরা কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। তাকে দ্রæত আটক করে আমরা অপরাধীদের জানিয়ে দিলাম, ডোমারে অপরাধ করে কেউ পার পাবে না।
প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরে কিস্তির টাকা তুলতে চাকধাপাড়া এলাকার আফজাল হোসেনের বাড়ীতে যায় আশা এনজিও’র মাঠকর্মী সিরাজুল ইসলাম (৪৮) ও আব্দুল আলীম (৩৩)। ওই সময় বৃষ্টি হওয়ার কারণে তারা দুইজনে আফজালের ঘরে আশ্রয় নেয়। এসময় পাশের বাড়ীর মাদকসেবী মোস্তাকিম (৩২) একটি ছুরি নিয়ে ওই ঘরের ভিতরে ঢুকে ভিতর দিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়। তাদের চিৎকারে ঘরের বাইরে কয়েকজন মহিলা দরজা ঝাকানো শুরু করে। এসময় মোস্তাকিম দরজা খুলে রক্তমাখা ছুরি নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে ছুরি ঘুড়াতে থাকে। কেউ সামনে আসলে খুন করে ফেলার হুমকি দিয়ে দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায় মোস্তাকিম। চিৎকারে উপস্থিত আশ্বপাশের লোকজন দেখতে পায়, ঘরের ভিতরে একজনের মাথা হতে ও একজনের হাত থেকে প্রচুর রক্ত বের হচ্ছে। সাথে সাথে তাদের ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এলাকাবাসী। তাদের দুই জনের অবস্থা আশংকাজনক হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। এসময় এনজিও’র অন্যান্য কর্মীরা তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।
তারা এখনো রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে।