আরও ৩৪ কোভিড রোগীর মৃত্যু, মোট প্রাণহানি ৩৩৯৯
রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১১ হাজার ১৪টি। এরমধ্যে ১০ হাজার ৭৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৪৮৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মোট আক্রান্ত ২ লাখ ৫৭ হাজার ৬০০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ১২ শতাংশ।
ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৩১ জন ও নারী ৩ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন ৩ হাজার ৩৯৯ জন।এ পর্যন্ত যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ২ হাজার ৬৮৬ জন আর নারী ৭১৩ জন।তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৬৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৭০ জন।শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৬০ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, বয়স বিভাজনে ২১-৩- বছরের মধ্যে একজন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ৪, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ৫, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ৬, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ১১, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ৬ এবং ৮১-৯০ বছরের মধ্যে একজন মারা গেছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে ৩২ এবং বাড়িতে ২ জন মারা গেছেন।
ডা. নাসিমা আরও জানান, বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রামে ৬, রাজশাহীতে ৪, খুলনায় ৭, ময়মনসিংহে এক এবং রংপুরে ২ জন মারা গেছেন।
এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে এক হাজার ৬২৭ জন, চট্টগ্রামে ৮০৪, রাজশাহীতে ২১৩, খুলনায় ২৫৯, বরিশালে ১৩২, রংপুরে ১৩৪, সিলেটে ১৫৮ এবং ময়মনসিংহে ৭২ জন মারা গেছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগীশনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।