ডোমারে মাদকাসক্তের ছুরিকাঘাতে দুই এনজিও কর্মী আহত
https://www.obolokon24.com/2020/08/Domar.html
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার মাদকাসক্ত যুবকের ছুরিকাঘাতে এনজিও আশার দুই কর্মী আহত হয়েছেন। রবিবার দুপুরে উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের চাকধাপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
আহত এনজিও আশার সোনারায় শাখার ঋণ কর্মকর্তা মো. আলিফ হোসেন (৩০) ও মো. সিরাজুল ইসলামকে (৩৫) গুরুত্বর অবস্থায় ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখান থেকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অপরদিকে মাদকাশক্ত যুবক মোস্তাকিন ইসলামকে (৩২) গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে ডোমার থানা পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এনজিও আশার ওই কর্মী রবিবার দুপুরে ইউনিয়নের চাকধাপাড়া গ্রামে ঋণের কিস্তি তুলতে আসেন। কিস্তির টাকা তোলার পর তাদের শাখা ব্যবস্থাপক এসে সেখান থেকে টাকা নিয়ে চলে যান। ওই স্থান ত্যাগের আগে বৃষ্টি হলে ওই দুই কর্মী একটি ঘরে আশ্রয় নেন। এসময় মোস্তাকিন ইসলাম ঘরে গিয়ে তাদের কাছে এক হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মোস্তাকিন ধারালো ছুরি দিয়ে তাদের এলোপাথারি কুপিয়ে আহত করে। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে মোস্তাকিন রক্তমাখা ছুরি নিয়ে পালিয়ে যান। পরে এলাকাবাসী ও পুলিশ তাদের উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আশার সোনারায় শাখার ব্যবস্থাপক হামিদুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার কিছুক্ষণ আগে সেখান থেকে কিস্তির আদায়কৃত টাকা নিয়ে আমি অফিসে চলে আসি। তারপর মুঠো ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি আমার দুই মাঠকর্মীকে ছুরিকাঘাত করে গুরুত্বর আহত করেছে মাদক মামলার জেল ফেরত আসামী মোস্তাকিন। এঘটনায় কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।”
ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মো. তানভির জোহা বলেন, “ছুরির আঘাতে একজনের মাথায় ও একজনের হাতে গভীর ক্ষত হয়েছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছি।”
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজার রহমান বলেন, “আমরা ৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। ঘটনার হোতা মোস্তাকিন মাদকাসক্ত যুবক। অল্পদিন আগে সে মাদক মামলায় জেল খেটে বেড়িয়েছে। রক্তমাখা ছুরিটি উদ্ধার করেছি। মোস্তাকিনকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।”
#