কিশোরগঞ্জে চলাচলের অনুপোযোগী গ্রামীণ রাস্তাঘাট

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গ্রামীণ রাস্তাগুলো কাঁদা পানিতে সয়লাব হয়ে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করে চলছে। সড়কগুলো দেখে মনে হয় কোন কৃষক আউস ধান রোপনের জন্য জমি তৈরী করে রেখেছেন। অথচ এসব রাস্তা সংস্কারে কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছেনা দীর্ঘদিন ধরে। বর্ষা মৌসুমে এসব রাস্তার পাশের মানুষের করুন অবস্থা দেখার কেউ আছে বলে মনে হয়না। 
কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, বাহাগিলি, মাগুড়া, রণচন্ডি এবং গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক একেবারেই চলাচলের অনুপোযোগী। সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব সড়ক কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। প্রচন্ড কাঁদায় চলতে গিয়ে অনেকেই পড়ে গিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার আগেই বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। দুর্ভোগ থেকে মুক্তির আশায় বছরের পর বছর ভোগান্তির স্বীকার এসব এলাকার বাসিন্দারা জনপ্রতিনিধিসহ উর্দ্ধতন কর্তপক্ষকে জানালেও কোন লাভ হয়নি। 
চলাচলের অনুপোযোগী গ্রামীণ সড়কগুলোর মধ্যে, বাহাগিলি কাচারীপাড়া পাকার মাথা থেকে ময়নাকুড়ি বাজার পর্যন্ত চার কিলোমিটার, বাহাগিলির নয়ানখাল শাহপাড়া, সরকারপাড়া, ঘোনপাড়াসহ বিভিন্ন রাস্তার তিন কিলোমিটার। মাগুড়া ইউনিয়নের মাগুড়া দোলাপাড়া  এক নম্বর ওয়ার্ডের দুই কিলোমিটার, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দোলাপাড়া উচাখুলি পুর্বপাড়া হয়ে সাবেক ওয়ার্ড সদস্য মহি মেম্বারের বাড়ির সামন দিয়ে শাহপাড়া পর্যন্ত দুই কিলোমিটার। গাড়্রাগ্রাম ইউনিয়নের গোয়ালের বাড়ির সামন দিয়ে হাজির হাট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার, সাত নম্বর ওয়ার্ডের হিন্দুপাড়া যাওয়ার রাস্তা প্রায় এক কিলোমিটারসহ মোট ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার একেবারেই চলাচলের অনুপোযোগী। 
মাগুড়া ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ভ্যান চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, একদিন ভ্যান চালাইতে না পারলে পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতে পারিনা। কয়েকদিন থেকে অতিরিক্ত বুষ্টির কারনে রাস্তা দিয়া ভ্যান ঠেলি নিয়া যাওয়া যায়না। ভ্যান নিয়া বাড়ির বাইরে যেতে না পারলে পেটে ভাত যায়না। 
বাহাগিলি ইউনিয়নের বাসিন্দা আফিজার রহমান বলেন, কাচারীপাড়া থেকে ময়নাকুড়ি যাওয়ার রাস্তাটির এমন বেহাল অবস্থা যেন মনে হয় আমরা বাহাগিলি বাসি বাংলাদেশের নাগরিক নই। যদি দেশের নাগরিক হতাম তাহলে এমন দুর্ভোগ হতনা। 
গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মারুফ হোসেন অন্তিক বলেন, গ্রামীণ রাস্তাগুলো দিয়ে অবৈধভাবে তৈরী করা মাহিন্দ্র ট্রাক্টরের পিছনে বগি তৈরী করে বালু মাটিসহ অন্যান্য জিনিস পরিবহন করার কারনে রাস্তাগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারনে নদী ভাঙ্গনের পাশাপাশি যেসব রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যাচ্ছে আমি প্রতিদিন সেগুলো পরিদর্শন করে স্ব স্ব বিভাগকে ব্যবস্থা নেওয়ায় জন্য নির্দেশ দিয়েছি। 
উপজেলা প্রকৌশলী মজিদুল ইসলাম বলেন, শুধু গ্রামীণ রাস্তাগুলো সংস্কার করার জন্য নতুন করে একটি প্রকল্প চালু হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পটি চালু হলে সব গস্খামীণ রাস্তা সংসকার করা হবে। তারঁপরও জরুরী ভিত্তিত্তে যে সব রাস্তা সংস্কার করা দরকার সেগুলো সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের চেষ্টা করব। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6276392771139706453

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item