ডোমারে নদীতে পরে নিখোঁজ দুই শিশুর মধ্যে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার
https://www.obolokon24.com/2020/07/death.html
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নীলফামারী ডোমারে নানাকে মাটি দিয়ে দাদীর সাথে বাড়ী ফেরার পথে নদীতে পড়ে নিখোজ দুই শিশুর মধ্যে মনোয়ার(৬) এর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজের প্রায় আটচল্লিশ ঘন্টা পর আজ রবিবার(৫ জুলাই) দুপুর পোনে বারোটার দিকে নিখোঁজের স্থান থেকে আনুমানিক ৪ শত গজ দুরে হাজি তছির উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার কাছে শিশুটির মৃতদেহ পাওয়া যায়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নদীর পানি কমে এলে মনোয়ারের পরিবারের লোকজন আজ সকালে দুই শিশুকে উদ্ধারের জন্য নদীতে খোঁজা শুরু করে। একপর্যায়ে দুপুর পোনে বারোটার দিকে নিখোঁজের স্থান থেকে ৪ শত গজ দক্ষিনে নদীর কিনারে শিশু মনোয়ারের লাশ খুঁজে পায় তারা। গোমনাতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অপর শিশু নুরে জান্নাত মনির(৫) সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য যে, উপজেলার উত্তর গোমনাতীতে শিশু দুটির নানা কমির উদ্দিনের মৃত্যুহলে তার জানাযায় অংশ নিতে আসেন শুক্রবার(৩ জুলাই) দুপুরে শিশুদুটির পরিবারের সদস্যরা। সেখানে তার দাফন শেষে দাদী রওশনা আরা রোসনা(৪৫) বেগমের সাথে অটো চার্জার ভ্যানযোগে তিন নাতি-নাতনিকে সাথে নিয়ে বাড়ীতে ফিরছিরেন দাদী রোসনা বেগম। এ সময় গোমনাতি-আমবাড়ী সড়কের মাঝে দেওনাই নদীর উপর অবস্থিত ঝুকিপুর্ন বেইলী ব্রীজের পাটাতনের ফাকে ভ্যানের চাকা ঢুকে ভ্যান উল্টে গেলে ভ্যানে থাকা তিন শিশু লিপু(১০), মনোয়ার(৬) ও নুরে জান্নাত মনি(৫) নদীতে পরে যায়। তাদের উদ্ধারে দাদী রোসনা বেগম নদীতে ঝাপিয়ে নাতি লিপুকে উদ্ধার করলেও অপর দুই শিশু মনি ও মনোয়ার নদীতে পরে নিখোজ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীর দল শিশু দুটিকে উদ্ধারে দেওনাই নদীর ৬ কিলোমিটার এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।