করোনায় আরও ৫৫ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩০২৭
https://www.obolokon24.com/2020/07/c_7.html
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মোট মারা গেছেন ২ হাজার ১৫১ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ২৭ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৪৫ জন।
আজ মঙ্গলবার (৭ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ হাজার ৪৯১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৩ হাজার ১৭৩টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৪৮০টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার ২৭ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৪৫ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৫৫ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ১৫১ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৯৫৩ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭৮ হাজার ১০২ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৫৫জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৪৬ জন এবং নারী নয়জন। এদের মধ্যে ১০ বছরের বেশি বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুজন, চল্লিশোর্ধ্ব ছয়জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৮ জন, ষাটোর্ধ্ব ২১ জন, সত্তরোর্ধ্ব ছয়জন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন রয়েছেন। তাদের ২৭ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, দুজন রাজশাহী বিভাগের, সাতজন খুলনা বিভাগের, দুজন রংপুর বিভাগের, দুজন সিলেট বিভাগের, দুজন বরিশাল বিভাগের এবং একজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। ৩৯ জন মারা গেছেন হাসপাতালে, ১১ জন বাসায় এবং একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
মঙ্গলবারের বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৯১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৪৬ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ।
বুলেটিনে ডা. নাসিমা করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের আহ্বান জানান।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজারের বেশি। মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে সাড়ে ৬৭ লাখের মতো রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।