পার্বতীপুরে সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালিত
https://www.obolokon24.com/2020/07/blog-post_1.html
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বারোকোনা আদিবাসী সাঁওতাল পল্লীর কলম সরেন-আলমা সরেন মাঠে সামাজিক সুরক্ষা বজায় রেখে সীমিত পরিসরে সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালিত হয়।
মঙ্গলবার ১৬৫তম এ দিবসের আয়োজন করে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সিধু-কানু স্মৃতিস্তম্ভে পূষ্পার্ঘ অর্পণ করেন তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রবীন্দ্র নাথ সরেণ, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক আমজাদ হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য খোকন সুইটেন মুরমু, আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সভাপতি সাগেইন হাসদা, সম্পাদক মিথাইল মাড্ডি, সাংস্কৃতিক পরিষদ নেত্রী সুসন্যা হেম্ব্রম, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপজেলার সাধারন সম্পাদক বিমল মুর্মূ ও গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের আলো প্রকল্পের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। দিনব্যাপী এ দিবসে সাঁতাল শিশুদের জন্য রচনা ও চিত্রাংকণ প্রতিযোগিতা, খেলাধুলা ও তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য তীর ছোড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রবীন্দ্র নাথ সরেন বলেন, ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের ৩০ হাজার সাঁওতাল প্রতিবাদে একত্রিত হয়। সাঁওতালরা তীর ধণুক নিয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে। এতে বিদ্রোহের অন্যতম নেতা সিধু, কানু, চাঁদ, ভৈরব, ফুলমনি, ঝানমনি শহীদ হন। তারা ৩০ হাজার সাঁওতাল হত্যা করে ৫০ হাজার গ্রাম গুড়িয়ে দেয়। তিনি বর্তমান সরকারের নিকট আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানান। সেই সাথে সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রনালয় গঠন, জাল দলিলে কেড়ে নেয়া সাঁওতালদের জমি উদ্ধার, মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা, ছিন্নমূল আদিবাসীদের পুর্ণবাসন সকল আদিবাসী হত্যার বিচারসহ ১৩দফা তুলে ধরেন৷