টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নীলফামারীর নিম্নাঞ্চল
https://www.obolokon24.com/2020/07/Rrain.html
নীলফামারী প্রতিনিধি॥ রাত থেকে অবিরাম ভারী বর্ষন। চলে সকাল পর্যন্ত। নীলফামারীতে গতকাল বুধবার (২৯ জুলাই/২০২০) রাত ১০টা থেকে শুরু হয়ে আজ বৃহস্পতিবার(৩০ জুলাই/২০২০) সকাল ১০টায় থামে বৃষ্টি। এতে ডুবে গেছে শহর ও গ্রামের রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ীর আঙ্গিনা। তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল ও ফসলি জমির মাঠ।
হাটু পর্যন্ত পানির চিত্র দেখা গিয়েছে জেলা শহরের নিউবাবুপাড়া, মাছুয়াপাড়া, বারাইপাড়া, মিলন পল্লী, বাবুপাড়া, সবুজ পাড়া, শাহীপাড়া সহ সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীলফামারীর কন্ট্রোলরুম সূত্র মতে, ২৪ ঘন্টায় নীলফামারী সদরে ১৮৫ মিলিমিটার, তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। অপর দিকে জেলার ডিমলা উপজেলা আবহাওয়া অফিস জানায় ডিমলা উপজেলা শহরে বৃস্টিপাত রেকর্ড করা হয় ৬৫ মিলিমিটার।
জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাহালী পাড়া (ডাঙ্গাপাড়া) গ্রামের ৩ নং ওয়াডের বাসিন্দা কমলাকান্ত রায় জানান, টানা বৃস্টিতে এলাকার বসত বাড়ীতে হাটু পরিমান পানি জমেছে। চুলা চালিয়ে রান্না করে খাবার মতো কোন উপায় নেই। এলাকাটি নিম্নাঞ্চল হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলে তলিয়ে যায়।
জেলা শহরের নিউবাবুপাড়ার মুরগিহাটি মহল্লার বাসিন্দা রুবেল ইসলাম জানায়, গতকাল বুধবার থেকে অবিরাম বৃষ্টির কারনে রাস্তা ডুবে যায়। পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতে বাড়ীর উঠানে পানি জমে যায়। করোনা আর বন্যা শ্রমজীবি মানুষকে নাজেহাল করে তুলছে। বাবুপাড়ার গৃহিনী আঞ্জুয়ারা বলেন,টানা বৃষ্টির কারণে বাসার পাশের ড্রেনগুলো উপচে রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরের আঙিনা ডুবে গেছে। পথচারীরা হাঁটু থেকে কোমরপানি পেরিয়ে চলাচল করছেন।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরন কেন্দ্র জানায়, তিস্তা নদী সহ জেলার চারালকাটা, যমুনেশ্বরী, চিকলি, কুমলাই, দেওনাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সকাল ৬টায় বিপদসীমার (৫২.৬০ মিটার) ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও ১২ ঘন্টার ব্যবধানে সন্ধ্যা ৬টায় পানি বৃদ্ধি পায় ১৫ সেন্টিমিটার। ফলে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ টি জলকপাট।