পীরগাছায় বন্যার পানিতে ভেসে গেছে অর্ধশত মৎস্যচাষির স্বপ্ন
https://www.obolokon24.com/2020/07/Rangpur.html
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের চরাঞ্চলের পাঁচটি গ্রামে তিস্তার বন্যার পানিতে ভেসে গেছে প্রায় অর্ধশত মৎস্যচাষিদের স্বপ্ন। গত কয়েক দিনে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ও ভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে। এতে উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ নিচু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে বাড়িঘর। ভেসে যায় মৎস্য খামারের পাশাপাশি অসংখ্য পুকুর।
তিস্তা নদীর তীরবর্তী ছাওলা ইউনিয়নে মোট ৬৭২টি পুকুর রয়েছে। ৬৭.৫ হেক্টর আয়তনের এসব পুকুরে ৬শ চাষি মৎস্য চাষ করেন বলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়।
উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নেরর গাবুড়া আকবর আলী পেশায় একজন মৎস্যচাষি। অভাব অনটনের মাঝেও ঋণ করে গড়ে তুলেছিলেন একটি মৎস্য খামার। খামারটি নিয়ে নানা স্বপ্ন ছিল তার। একদিন মাছ বিক্রি করে সংসারের অভাব দূর করবেন। কিন্তু কে জানতো অসময়ের বন্যার পানিতে ভেসে যাবে তার সেই স্বপ্ন।
আকস্মিক বন্যার পানিতে ভেসে গেছে তার খামারটি। জাল দিয়ে ঘিরেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। পানির সঙ্গে ভেসে গেছে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ। এখন তিনি সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন।
একই এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত চাষি আঙ্গুর আলম বলেন, গত বন্যায় খামার ভেসে গিয়েছিল। পথে বসেছিলাম। ঋণ করে আবারও চাষ করেছি। এবারও সর্বশান্ত হলাম। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় না। তাই আমরা নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে পারি না।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আমিনুল ইসলাম বলেন, বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতির পরিমান নিরুপণ করা সম্ভব হবে।
রংপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরুণ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, চলতি বন্যায় মৎস্য খাতে এখনও তেমন ক্ষতির খবর আমরা পাইনি। খোঁজ খবর নেওয়া অব্যাহত রয়েছে। একইসঙ্গে বন্যা থেকে মাছ রক্ষায় মৎস্যচাষিদের সচেতনতার কাজ চলছে।