পঞ্চগড়ে ও গরুর লাম্পি স্কিন রোগ আতংকে খামারি
https://www.obolokon24.com/2020/07/Panchagar.html
পঞ্চগড়ে গবাদিপশুর মধ্যে লাম্পি স্কিন রোগ দেখা দিয়েছে। খামারি ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলায় গরু সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ এর মধ্যে লাম্পি স্কিন আক্রান্ত গরুর সংখ্যা প্রায় ৩৮১ টি। জুন মাসের ২১ তারিখ থেকে সংক্রমণ শুরু হয়েছে। মারা যাওয়ার সঠিক কোনো তথ্য নেই।
জনবল কম থাকার কারণে মাঠ পর্যায়ে কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে পাচ্ছেন না। এ ছাড়া কৃষকরা আক্রান্ত গরু নিয়ে প্রাণী সম্পদ অফিস না আসার কারণে অনেকটা তথ্য সংগ্রহ করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
লাম্পি স্কিন ভাইরাসটি আক্রান্ত গরুর শরীর প্রথমে ফুলে গুটি-গুটি হয়। কয়েকদিন পর গুটিগুলো ফেটে রস ঝড়তে থাকে। ফলে ফেটে যাওয়া স্থানেই ক্ষত সৃষ্টি হয়ে গরুর শরীরে প্রচন্ড জ্বর এবং খাবার রুচি কমে যায়। নাক ও মুখ দিয়ে লালা বের হয়। তারা বলছে লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি) ভাইরাস জেলার ৫ উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে জগদল,প্রধান পাড়া, শুড়িভীটা,কেচেরা পাড়া, ঝাকুয়াকালী, গোয়ালঝার, অমরখানা গ্রামসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামঘুরে দেখা যায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব। কথা হয় বেশ কয়েক জন কৃষকের সঙ্গে। তারা বলেন, আমাদের গ্রামের অনেক গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
সদর উপজেলা জগদলের বাসিন্দা কৃষক মজিবর বলেন, গত ১২ দিন আগে আমার একটি গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। গরুর অবস্থা ক্রমেই খারাপ হয়েছিল। বর্তমানে চিকিৎসা করে একটু সুস্থ হয়েছে।
উপজেলার শুড়িভীটায় আফজাল এগ্রো ফার্মের রনি জানান, আমার প্রথমে একটি গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে চাকা চাকা হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে গরুটি আলাদা ভাবে রাখতে বললেও জায়গা সংকটের কারণে সেটা করতে পারিনি।এখন আমার ৬ টা গরু আক্রান্ত নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছি।
প্রধান পাড়া গ্রামের কৃষক ওজিবত জানান, তার দুটি দেশি গরু লাম্পি স্কিন ভাইরাস জনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তেমন কিছু খেতে পারছে না।
জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা.আব্দুল মজিদ বলেন, লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি) ভাইরাস নামে পরিচিত। মশা, মাছি, আঠালির মাধ্যমে এই ভাইরাসটি ছড়ায়। সচেতনতার মাধ্যমে এ ভাইরাস থেকে বাঁচা সম্ভব। এ জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর জোর দিতে হবে।
কৃষকদের সচেতনতার জন্য আমরা নিয়মিত উঠান বৈঠক ও লিফলেট বিতরণ করছি।