কিশোরগঞ্জে শ্বশানের জমির মালিকানা দাবি করে লাশ সৎকারে বাঁধা -অতঃপর

কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) সংবাদদাতা:
  শ্বশানের জমির মালিকানা দাবি করে শ্রী সুরেন্দ্র বমর্ন (৯৫) নামে এক বৃদ্ধের লাশ স্থানীয় শ্মশানে দাহ করতে বাধা দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে  নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডি ইউনিয়নের হিন্দুপাড়া গ্রামে।  এ ঘটনায় ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে  মৃত্যুর প্রায় ২৪ ঘন্টা পর স্থানীয় প্রশাসন,পুলিশ, সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে  বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই বৃদ্ধের মরদেহ সৎকার করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, হিন্দুপাড়া গ্রামের মৃত চাঁন মহন্ত বর্মনের ছেলে সুরেশ মহন্ত বর্মন (৯৫) বাধ্যক জনিত কারনে  বুধবার সকাল ১১টায় নিজবাড়িতে পরলোকগমন করেন। ওই বৃদ্ধের শরীরে কোন করেনা উপসর্গ ছিলনা। হিন্দুপাড়ার লোকজন গ্রামের শ্মশানে লাশ দাহ করার জন্য দুপুরের মধ্যে প্রস্তুতি নেয়। এ জন্য শ্মশানস্থলে দাহ করার জন্য মরদেহ নিয়ে যায়। এতে বাধা দেয় পাশ্ববতী উত্তরপাড়া গ্রামের মাহাতাবের ছেলে আজাহার, মাহম্মদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর সহ অনেকে শ্মশানের জায়গার মালিক  দাবি করে লাশ দাহ করতে বাধা দিয়ে লাশ ফিরিয়ে দেয়। সে দিন দুই পক্ষই এ নিয়ে সমাধানের চেস্টা চালায়। গ্রামের ইদ্রিস আলী চৌধুরী(৬৫) জানায় হিন্দুপাড়ার শ্মশানটি অনেক বছর আগে থেকেই প্রতিষ্ঠা ছিল।  এখন শ্মশানের জমির মালিকানা নিয়ে কোন দাবি কারো থাকতে পারেনা। সেটি হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশানস্থল। অপর দিকে আজাহারুল ও জাহাঙ্গীর সহ অনেকের দাবি  এই জমি তাদের বাপদাদার। এখানে আর কোন দাহ করতে দেয়া হবেনা।

ফলে কোন সমাধান না হওয়ায় গতকাল বুধবার লাশ  দাহ করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় পরলোকগমন করা সুরেশ মহন্ত বর্মনের ছেলে রুহী মহন্ত বর্মন সহ হিন্দুপাড়ার লোকজন বিষয়টি কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে অবগত করে লাশ সৎকারের জন্য আবেদন করে।

এ অবস্থায়  বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে উভয়পক্ষকে ডেকে লাশ দাহের ব্যবস্থা সহ ঘটনা সমাধানের চেস্টা চালায়। কিন্তু শ্মশানের জমির মালিকানা ও করোনা উপসর্গে বৃদ্ধ মারা গেছে এমন কথিত অভিযোগ তুলে প্রতিপক্ষের লোকজন লাশ দাহ করতে দিবেনা বলে অনড় থাকে। এমনকি বেশ কিছু নারী পুরুষ এসে দাহ করার জন্য তৈরী বাঁশের মঞ্চ ভেঙ্গে দেয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তোজনা ছড়িয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সাংবাদিক ও ইউপি জনপ্রতিনিধিরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এরপর উত্তরপাড়া গ্রামবাসীর সঙ্গে বিষয়টি বুঝিয়ে ওই শ্মশানে দুপুরে লাশ দাহ করতে সক্ষম হয়।

রনচন্ডি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান জানান প্রতিপক্ষের ভুলের কারনে যে পরিস্থিতি সৃস্টি হয়েছিল তা সমাধান করা হয়। উত্তরাপাড়ার লোকজন তাদের ভুল বুঝতে পেরেছেন।

সৈয়দপুর সাকের্লের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল  বলেন কিছু মানুষের উস্কানিতে একটি পক্ষ না বুঝে লাশ দাহ করতে বাধা দিয়েছিল।  পরবর্তিতে পুলিশ, সাংবাদিক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে লাশ দাহের অনুমতি দেয়। এরপর ধমরীতি অনুযায়ী হিন্দুপাড়ার মানুষজন ওই বৃদ্ধের লাশ দাহ করে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8786971305439135799

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item