জলঢাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে "জানেরপুল" যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত
https://www.obolokon24.com/2020/06/ja.html
মর্তুজা ইসলাম, জলঢাকা প্রতিনিধিঃ বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে চলমান ছুটিতে বাড়ীতে আসা শিক্ষার্থীদের গড়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোর সন্ধানী ফাউণ্ডেশন (আসফ) ও স্থানীয় জনগন নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে দীর্ঘদিন থেকে মানুষের চলাচলে অযোগ্য চৈতন্যঘাট এলাকার জানেরপুুল ব্রীজের দুই পাশে মাটিভরাট করে জনসাধারনের পারাপার উন্মুক্ত করেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গুলমুণ্ডা ইউনিয়নের ভাবনচুর মধ্যপাড়া ও চৈতন্যঘাটে মাঝামাঝি অবস্থিত ৮৫ সালে নির্মিত পুরাতন ব্রীজটি কোন উপকারে আসছেনা জনসাধারনের দুই পাশে মাটি না থাকায়। একারনে অহরহ দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে দুই পারের বাসিন্দাসহ পথচারিরা। ব্রীজের দুই পাশে মাটিভরাট করে চলাচলের যোগ্য করার জন্য দীর্ঘ ৬ মাস ধরে ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট ধর্না দিয়ে কোন উপায় না পেয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোর সন্ধানী ফাউণ্ডেশন ও এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে জানেরপুল ব্রীজটির দুই পাশে ২ শত বস্তায় মাটি ভরিয়ে রাস্তাটিকে চলাচলের যোগ্য করে তোলেন। বুধবার সকাল থেকে মাটিভরাটের কাজ শুরু করে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) কাজ শেষ করে জনসাধারনের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে। এ বিষয়ে আসফের পরিচালক সাইফুল ইসলাম সুজন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ব্রীজটির দুইপাশে মাটি না থাকায় উভয় গ্রামের মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছিল। যান চলাচল না করায় অসুবিধায় পড়ে ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও সাধারন মানুষ। সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে দীর্ঘ ৬ মাস থেকে যোগাযোগ করে কোন সুফল পায়নি এলাকাবাসী। তাই এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে আলোর সন্ধানী ফাউণ্ডেশনের (আসফ) সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে মাটি ভরাট করে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে রাস্তাটি। এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে আমার কাছে স্থানীয় একটি সংগঠনের কয়েকজন সদস্য এসেছিল তারা ব্রীজটির উভয় দিকে মাটি ফেলে ভরাট করবে। আমি তাদের কে ১ শত ৫০ টি বস্তা দিয়েছি কাজ করার জন্য। ইউএনও স্যার ও ইঞ্জিনিয়ার স্যারের কথা বলেছি রাস্তাটির ব্যাপারে।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান মেম্বারের কাছে কত ধর্না দিছি তারা কথা শোনেনা। অথচ গ্রামের ছেলেরা যেভাবে সড়কটি সচল করলো তাতে আমরা গ্রামবাসী খুশি। তিনি আলোর সন্ধানী ফাউণ্ডেশনের আলোয় আলোকিত হউক সমাজ এই কামনা করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তাটি সচল করায় আলোর সন্ধানী ফাউন্ডেশনের সদস্যদের শুভ কামনা জানিয়ে বলেন, সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে যুবসমাজকে এভাবেই এগিয়ে আসতে হবে। তিনি রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান।
এদিকে আসফের সভাপতি শেফাউল আলম সুমন জানান, সংগঠনের ফাণ্ড থেকে আমরা ১০ টলি মাটি কেনাসহ সামগ্রিক ব্যয় নির্বাহ করেছি। রাস্তাটি চালু হওয়ায় চৈতন্যঘাট, ভাবনচুর, সাইফোন ও হলদিবাড়ীসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মানুষের চলাচলে সুবিধা সৃষ্টি হইলো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আসফ পরিবারের সদস্য আসলাম হোসাইন লিমন, এস.আই শাহীন ইসলাম, আরিফুজ্জামান হিমু, শাহিনুর ইসলাম, উপজেলা সদস্য মাহাতাব উদ্দিন, নূর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ আলী, মোস্তাফিজার রহমান, মমিন ইসলাম, কাইয়ুম ইসলাম সহ স্থানীয় জনগণ।
এছাড়াও চলমান করোনা ভাইরাস মহামারিতে আলোর সন্ধানী ফাউণ্ডেশন (আসফ) ত্রান বিতরন, মানুষকে সচেতন করতে জেলা জুড়ে মাইকিং, সাবান, লিফলেট ও মাস্ক বিতরন করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গুলমুণ্ডা ইউনিয়নের ভাবনচুর মধ্যপাড়া ও চৈতন্যঘাটে মাঝামাঝি অবস্থিত ৮৫ সালে নির্মিত পুরাতন ব্রীজটি কোন উপকারে আসছেনা জনসাধারনের দুই পাশে মাটি না থাকায়। একারনে অহরহ দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে দুই পারের বাসিন্দাসহ পথচারিরা। ব্রীজের দুই পাশে মাটিভরাট করে চলাচলের যোগ্য করার জন্য দীর্ঘ ৬ মাস ধরে ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট ধর্না দিয়ে কোন উপায় না পেয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোর সন্ধানী ফাউণ্ডেশন ও এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে জানেরপুল ব্রীজটির দুই পাশে ২ শত বস্তায় মাটি ভরিয়ে রাস্তাটিকে চলাচলের যোগ্য করে তোলেন। বুধবার সকাল থেকে মাটিভরাটের কাজ শুরু করে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) কাজ শেষ করে জনসাধারনের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে। এ বিষয়ে আসফের পরিচালক সাইফুল ইসলাম সুজন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ব্রীজটির দুইপাশে মাটি না থাকায় উভয় গ্রামের মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছিল। যান চলাচল না করায় অসুবিধায় পড়ে ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও সাধারন মানুষ। সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে দীর্ঘ ৬ মাস থেকে যোগাযোগ করে কোন সুফল পায়নি এলাকাবাসী। তাই এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে আলোর সন্ধানী ফাউণ্ডেশনের (আসফ) সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে মাটি ভরাট করে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে রাস্তাটি। এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে আমার কাছে স্থানীয় একটি সংগঠনের কয়েকজন সদস্য এসেছিল তারা ব্রীজটির উভয় দিকে মাটি ফেলে ভরাট করবে। আমি তাদের কে ১ শত ৫০ টি বস্তা দিয়েছি কাজ করার জন্য। ইউএনও স্যার ও ইঞ্জিনিয়ার স্যারের কথা বলেছি রাস্তাটির ব্যাপারে।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান মেম্বারের কাছে কত ধর্না দিছি তারা কথা শোনেনা। অথচ গ্রামের ছেলেরা যেভাবে সড়কটি সচল করলো তাতে আমরা গ্রামবাসী খুশি। তিনি আলোর সন্ধানী ফাউণ্ডেশনের আলোয় আলোকিত হউক সমাজ এই কামনা করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তাটি সচল করায় আলোর সন্ধানী ফাউন্ডেশনের সদস্যদের শুভ কামনা জানিয়ে বলেন, সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে যুবসমাজকে এভাবেই এগিয়ে আসতে হবে। তিনি রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান।
এদিকে আসফের সভাপতি শেফাউল আলম সুমন জানান, সংগঠনের ফাণ্ড থেকে আমরা ১০ টলি মাটি কেনাসহ সামগ্রিক ব্যয় নির্বাহ করেছি। রাস্তাটি চালু হওয়ায় চৈতন্যঘাট, ভাবনচুর, সাইফোন ও হলদিবাড়ীসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মানুষের চলাচলে সুবিধা সৃষ্টি হইলো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আসফ পরিবারের সদস্য আসলাম হোসাইন লিমন, এস.আই শাহীন ইসলাম, আরিফুজ্জামান হিমু, শাহিনুর ইসলাম, উপজেলা সদস্য মাহাতাব উদ্দিন, নূর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ আলী, মোস্তাফিজার রহমান, মমিন ইসলাম, কাইয়ুম ইসলাম সহ স্থানীয় জনগণ।
এছাড়াও চলমান করোনা ভাইরাস মহামারিতে আলোর সন্ধানী ফাউণ্ডেশন (আসফ) ত্রান বিতরন, মানুষকে সচেতন করতে জেলা জুড়ে মাইকিং, সাবান, লিফলেট ও মাস্ক বিতরন করে।