ডোমার উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে হাতি দেখিয়ে চলছে চাঁদাবাজি

   এ.আই.পলাশ.চিলাহাটি প্রতিনিধিঃ

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে হাতি দিয়ে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। প্রায়ই এমন চাঁদাবাজির কারণে বিপাকে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় মানুষ। তবে অনেকে আগ্রহভরে হাতীকে টাকাও দিচ্ছেন।
কেউ কেউ মনে করেন হাতী পোষা চাট্টিখানা কথা নয়। হাতী দিয়ে সার্কাস খেলা দেখানো হয়। বর্তমানে করোনা ভাইরাসে সার্কাস বন্ধ। তাই হয়তো উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতিনিয়ত দেখা যায়, বিশাল আকারের একটা হাতি নিয়ে তার মাহুথ টাকা তুলছে।

উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিটি দোকানে হাতির মাহুথ একটি বড় হাতি নিয়ে হানা দেন। দোকানপ্রতি কমপক্ষে ২০ থেকে ৫০ টাকা করে আদায় করা হয়। হাতি নিয়ে দোকানের সামনে এসে তারা দাঁড়ান, টাকা না দেওয়া পর্যন্ত সেখান থেকে হাতি সরানো হয় না। কেউ ১০ টাকা দিলে তা গ্রহন করেনা। এভাবে টাকা আদায়ের কারণে বিক্রিতেও সমস্যা হচ্ছে। এমনিতে চলছে করোনা ভাইরাস। সরকারের নিয়ম অনুযায়ী বিকাল ৪টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা হচ্ছে। এর মধ্যে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজিতে আমরা চরম বিপাকে পড়েছি।
 খোঁজ নিয়ে জানা যায় গত ৯ জুন উপজেলার বিকাল উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের চিলাহাটি বাজার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ যানবাহন আটকিয়ে থেকে টাকা তুলতে থাকে হাতি সহ তার মাহুথ। যদি কোন ব্যবসায়ী বা যানবাহনের লোক ১০/২০ টাকা হাতিকে প্রদান করে, তাহলে সেই হাতি তার লম্বা সুর দিয়ে টাকা ফেরত দিয়ে ৫০ টাকার নিচে গ্রহন করছেনা। চাহিদা অনুযায়ী ৫০ টাকা নেয়ার পর স্থান ত্যাগ করছে। নতুনা বাধা হয়ে দাড়িয়ে থাকছে। ফলে বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ী ও যানবাহনের মালিকরা ওই টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছে।
 
হাতির পিঠে বসে একজন হাতিটিকে পরিচালনা করছেন। প্রতিটি দোকান থেকে হাতি দিয়ে টাকা তোলা হয়। বাজারের দুই ব্যবসায়ী বলেন, প্রায় প্রতিদিনই অনেক খাতে টাকা দিতে হয়। বর্তমানে হাতিকেও দিতে হচ্ছে। বিষয়টি খুবই পীড়াদায়ক। হাতি পরিচালনাকারী একজন (মাহুত) বলেন, এখন সার্কাস নেই। করোন ভাইরাসের কারনে সব কিছু বন্ধ। বিভিন্ন এলাকা থেকে খাবারের জন্য কিছু টাকা নেওয়া হয়। তবে টাকা নেওয়ার সময় কাউকে জোর করা হয় না। লোকজন স্বেচ্ছায় যা দেয়, তাই নেওয়া হয়।

স্থানীয় প্রকৃতি ও পরিবেশ ও পাখি সুরক্ষা বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসেতুবন্ধনের সৈয়দপুর উপজেলা সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, বনের পশু পালনের জন্য নির্দিষ্ট আইন আছে। সার্কাস দলে পালনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। তবে বন্য এসব পশুর যাবতীয় দায়িত্ব মালিকের। এভাবে টাকা আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। #


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5215091556357853042

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item