ডোমারে ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধাকে দিতে হচ্ছে তার ভুলের মাশুল
https://www.obolokon24.com/2020/06/domar_7.html
এ.আই.পলাশ.চিলাহাটি,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্রের বতর্মান গুরুত্ব অতীতে না বুঝতে পারার মাশুল দিতে হচ্ছে ৮৫ বছরের বৃদ্ধা অফিতনকে। যার নাম জন্মনিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয় পত্রে নিবন্ধিত হয়নি। যার কারনে এখন সে বিভিন্ন সরকারী সেবা থেকে বঞ্চিত। না পাচ্ছে বয়স্কভাতা, না পাচ্ছে দুস্থমাতার ভাতা। নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড-এর কামারপাড়া এলাকার মৃত-শুকুরার স্ত্রী অফিতন । তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সে ছোটবেলা থেকে এই উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়নের হক সাহেবের বাড়িতেই বড় হয়েছে। তারাই আবার অফিতনের বিয়ে দেয় শুকুরার সাথে। একে একে পরিবারে জন্ম হয় ৪ ছেলে ও ২ মেয়ের। হঠাৎ করে প্রায় ৪০ বছর পূর্বে তার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর তার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। ছেলে-মেয়েরা বড় হওয়ার পর সবাই বিয়ে করে বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেয়। সেই সুযোগে অফিতন চলে যায় হক সাহেবের ঢাকায় অবস্থানরত ছেলে-মেয়েদের বাড়িতে। সে জানতে পারেনা, দিন যতই যাচ্ছে তার বয়স বৃদ্ধি পেয়েই চলছে। দীর্ঘ ৩০ বছর ঢাকায় থাকার পর ২০১৬ সালে তার ছোট ছেলে কালামের বাড়িতে এসে অবস্থান
নেয় । বর্তমানে তার বয়স ৮৫ বছর। এই বৃদ্ধার পাশে দাড়ানোর মতো এখন কেউ নেই। চেয়ারম্যান, মেম্বারের দ্বারে ঘুরেও সে কোন সরকারী সেবা পাচ্ছেন না। কারন, ঢাকায় অবস্থানকালে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নিবন্ধন করেননি এবং অন্যের বাড়িতে মানুষ হওয়ায় তার জন্মনিবন্ধনের কার্ডও করা হয়নি।
দেশে অফিতনের মতো আরো অনেকে আছে তারা হয়ত অফিতনের মতো সামনে এসে নিজেদের দুঃখের কথা বলেনি। কিন্তু, খোজ নিলে দেখা যাবে প্রায় সকল গ্রামাঞ্চলেই এমন অনেক অসহায় বয়স্ক ব্যাক্তি আছে, যাদের একটি ভুলের জন্যে আজকে তাদের সেই ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে। এই ব্যপারে স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি দেওয়া অতিজরুরী।