ডোমারে ক্লু -লেস জাকিরুল হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৩

নীলফামারী প্রতিনিধি\
অর্ধগলিত লাশটির হত্যাকান্ডের কোন ক্লু ছিলনা। লাশটি কি ভাবে চলাচল রাস্তার ধারের নালায় এলো। এমন প্রশ্ন ঘুরপাক। বিশেষ চিন্তা চেতনায় গোপনে তদন্ত চলতে থাকলো। ক্লুলেস অবস্থা। নীলফামারী পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমানের দিক নির্দেশনায় মামলাটি রহস্য উদঘাটনে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জয়ব্রত পালে নেতৃত্বে কাজ করেন গোয়েন্দা পরিদর্শক কে এম আজমিরুজ্জামান, উপ-পরিদর্শক রেজানুর রহমান, ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান, পরিদর্শক বিশ্বদেব রায় ও উপ-পরিদর্শক আজম হোসেন বের করতে সক্ষম হলো হত্যার ক্লু । এতেই বেড়িয়ে এলো নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চাঞ্চল্যকর জাকিরুল ইসলাম হত্যাকান্ডের রহস্য। একে একে গ্রেফতার হলো তিনজন। এই ঘটনায় জড়িত তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দিও দিলেন। জড়িতদের মধ্যে একজন এখনো পলাতক। তাকে ধরতেও পুলিশ তৎপর। আজ বৃহ¯পতিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন ডোমার ইউনিয়নের ছোটরাউতা গ্রামের আবিয়াতুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ রাশেদ(১৯), একই এলাকার ভুজারিপাড়ার আন্দারু বর্মণের ছেলে কমল কর্মকার(৩০) ও তরু ল²ন কর্মকারের ছেলে রওশন(৩২)।
জানা যায়, চলতি বছরের ১০ মে ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ি নালার খামার এলাকায় পরিত্যক্ত জমি থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। চিকনমাটি ভাটিয়াপাড়া এলাকার আব্দুল গণি লাশটি শনাক্ত করেন তার ছেলে জাকিরুলের। এ ঘটনায় এই বাবা ডোমার থানায় এ ঘটনায় থানায় মামলা করেন ।
মামলার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ সুপারের সরাসরি নির্দেশনা ও তদারকিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের দুটি ও ডোমার থানার দুটি টিমের চেষ্টায় ছোটরাউতা এলাকার আবিয়াতুল ইসলামের ছেলে অটোরিকসা চালক মোহাম্মদ রাশেদকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। অটোচালকের সহযোগীতায় পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয় কমল কর্মকার এবং রওশনকে।
হত্যার মুল মোটিভে বেড়িয়ে এলো গত ৭ মে রাতে জাকিরুলের(২৫) সাথে নারী সংক্রান্ত বিষয়ে কমল, রওশন ও নিখিল নামে আরেক আসামীর সাথে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে তারা জাকিরুলের গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর রাতের আধারে জাকিরুলের লাশ আদর্শ প্রাইমারী স্কুলের পিছনে ফেলে দেয়। এর দুই দিন পর ৯ মে রাতে ডোমার বাজার থেকে রাশেদের অটোরিকসা নিয়ে লাশটি উঠিয়ে মানুষ চলাচলে রাস্তার ধারে নালার খামারের জঙ্গলে ফেলে দেয়।
নিহত জাকিরুলের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরি ও মাদক ব্যবসার স¤পর্ক ছিল। তাই হত্যা স্থানটি পরিবর্তন করে হত্যাকারীরা স্কুলের পিছন থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার দুরে লাশটি ফেলে আসে নিজেদের নিরাপদ রাখতে।
বিষয়টি অত্যান্ত সু²ভাবে তদন্ত করে পুলিশ প্রথমে অটোচালককে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করে। এরপর এবং কমল ও রওশনকে গ্রেফতারে সে সহযোগীতা করে। লাশ উদ্ধারের পর থেকেই পলাতক ছিলো অটো চালক।
তদন্তে পুলিশ বুঝতে পারে যেখানে লাশ পাওয়া গেছে সেখানে হত্যাকান্ড হওয়ার কথা নয় এটি অন্য কোথাও ঘটিয়ে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে এজন্য পরিবহণ ব্যবহার করা হয়েছে।রহস্য উদঘাটনে ডিবি পুলিশ ও ডোমার থানা নৈশকালিন সকল অটো চার্জার রিকসা ভ্যান, ট্রাক্টরসহ প্রায় দুইশ যানবাহনের মালিক ও চালককে দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নিয়ে ক্লুলেস তৈরির চেষ্টা করছিলো হত্যাকারীরা। এ ঘটনায় জড়িত পলাতক নিখিলকেও দ্রæত গ্রেফতারের জোড় তৎপর চলছে।
গ্রেফতার আসামীরা আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছেন তাদের জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।#

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5437398392139981440

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item