সৈয়দপুরে চালককে অবচেতন করে একটি চার্জার রিকশা ভ্যান ছিনতাই

তোফাজ্জল হোসন লুতু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

নীলফামারীর সৈয়দপুরে চালককে অবচেতন করে একটি ব্যাটারিচালিত চার্জার রিকশা ভ্যান ছিনিয়ে নিয়ে গেছে প্রতারক চক্রের দুই সদস্য। সৈয়দপুর - নীলফামারী বাইপাস সড়কের মতির মোড় থেকে  গতকাল সোমবার রাত আটটায় অবচেতন অবস্থায় রিকশা ভ্যান চালক  মো. মাসুম বিল্লাহকে (১৪) উদ্ধার করা হয়। পরে সৈয়দপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 জানা গেছে, রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের ব্যাটারিচালিত রিকশা ভ্যান চালক  মো. শফিকুল ইসলাম। তাঁর তিন ছেলের মধ্যে সবার বড় মো. মাসুম বিল্লাহ। সে মূলতঃ স্থানীয় একটি মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। চলমান করোনা ভাইরাসের কারণে তাঁর মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে। ঘটনার দিন গত ৮ জুন সোমবার দুপুরে মাসুম বিল্লাহ্’র বাবা শফিকুল ইসলাম তাঁর ব্যাটারিচালিত রিকশা ভ্যানটি বাড়িতে রেখে ইরি-বোরো ধান কাটতে মাঠে যান। আর এই ফাঁকে তাঁর বড় ছেলে মাসুম বিল্লাহ্ বাবার ব্যাটারিচালিত রিকশা ভ্যানটি নিয়ে ভাড়া খাটতে বাড়ির অদূরে তারাগঞ্জ বাজারে আসে। সেখানে এসে ভাড়ার অপেক্ষায় থাকাকালীণ প্রতারক চক্রের দুই সদস্যের খপ্পরে পুড়ে মাসুম। প্রতারক চক্রের সদস্যরা তাকে বেশি ভাড়া দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর রিকশা ভ্যানটি ভাড়ায় নিয়ে সৈয়দপুরে নিয়ে আসে। পথিমধ্যে প্রতারক চক্রের দুই সদস্য তাকে ভাত এবং জুসের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে খাওয়ায়। এতে রিকশাভ্যান চালক মাসুম বিল্লাহ্ আস্তে আস্তে অবচেতন হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় প্রতারক চক্রের সদস্যরা তাকে সৈয়দপুর-নীলফামারী বাইপাস সড়কের মতির মোড় এলাকায় সড়কের ওপর ফেলে রেখে তাঁর রিকশা ভ্যানটি ও টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আশেপাশের লোকজন ঘটনাটি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন। পরে খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ অবচেতন অবস্থায় মাসুম বিল্লাহকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন। 

এদিকে, দুুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতেও রিকশা ভ্যান নিয়ে ছেলে মাসুম বিল্লাহ না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। অবশ্য তার আগে সৈয়দপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য মো. সোহেল রানা অবেচতন অবস্থায় থাকা রিকশা ভ্যান চালক মাসুম বিল্লাহ্ একটি ছবিসহ পুরো ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটার্স দেয়। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খোঁজ পেয়ে রাতে তাঁর বাবা সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতলে ছুঁটে আসেন।