নীলফামারীতে ৩৩ হাজার কুকুরকে ভ্যাকসিনেসনের আওতায় আনা হচ্ছে


নীলফামারী প্রতিনিধি॥ নীলফামারীতে জাতীয় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রন ও নির্মূল কর্মসূচি (এম ডিভি) গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জুন/২০২০) সকাল থেকে শুরু হয়েছে। সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ১৮ জুন থেকে আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত জেলার ছয় উপজেলায় ৩৩ হাজার কুকুরকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এটি জেলায় তৃতীয় ডোজ টিকাদান কর্মসূচি।
সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো. রাশেদুল হোসেন জানান, ২০২২ সালের মধ্যে দেশকে জলাতঙ্ক মুক্ত করার লক্ষ্যে ২০১০ সাল থেকে এ কর্মসুচি শুরু করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় এবং প্রাণি সম্পদ মন্ত্রনালয় যৌথভাবে জাতীয় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ এবং নির্মূল কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে দেশের সকল জেলায় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এসব কেন্দ্র থেকে টিকা বিনা মুল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।
কর্মসূচির সুপারভাইজার আসাদুজ্জামান প্রধান সুমন বলেন, নীলফামারী সদরে ৩৪টি টিম কাজ করছে। প্রত্যেকটি টিমে পাঁচজন করে সেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। এরমধ্যে ভ্যাকসিনেটর হিসেবে একজন এই দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে জেলায় দুই বার ওই টিকা প্রদান করা হয়েছে। 
নীলফামারী পৌর শহরের সবুজ পাড়া, বাড়াই পাড়া, গাছবাড়ী, দাদাভাই সড়ক ও ফায়ার সার্ভিস রোডে ভ্যাকসিনেসন করতে দেখা গেছে। শহরের ১৩ নং টিমের ভ্যাকসিনেটর মোখলেছার রহমান আনিস জানান, ভ্যাকসিন রেভিসিন ১ মিঃলিঃ করে প্রত্যেকটি কুকুরকে প্রয়োগ করা হচ্ছে। প্রতিদিন ২০-২৫ টি কুকুরকে এই টিকা প্রদান করা হবে। এটি জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলে কাজ করবে।
সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন বলেন, এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে জলাতঙ্ক রোগীর সংখ্যা পূর্বের তুলনায় ৬০ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের সকল কুকুরকে তিন ডোজ টিকা প্রদান করা গেলে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে। এদিকে, জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরীগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলায় একইভাবে টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। # 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2188638715415293968

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item