ডোমারে অধ্যক্ষের কাগজ-পত্র ছিনতাই ও লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে মানব বন্ধন

 
আবু ফাত্তাহ্ কামাল পাখি, স্টাফ রিপোর্টার - নীলফামারীর ডোমারে  পশ্চিম হরিনচড়া মহিলা বিএম কলেজের অধ্যক্ষের নিকট থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজ-পত্র ছিনতাই ও লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

১০জুন (বুধবার) বিকেলে হরিনচড়া ইউনিয়নের পশ্চিম হরিনচড়া বাবুর ডাঙ্গাঁ হাট প্রাঙ্গনে হরিন চড়া ইউনিয়ন এলাকাবাসীর ব্যানারে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ হরিনচড়া ইউনিয়ন শাখার সহ সভাপতি নাজিমউদ্দিন সাহা’র সভাপতিত্বে এ মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভায়  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত  ছিলেন  বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ডোমার উপজেলা শাখার ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তৈয়বুর রহমান। 
এ প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন হিন্দু, বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখা ও  সহ সভাপতি (ক্ষত্রিয় সমিতি রংপুর অঞ্চল ) নিরঞ্জন রায়, হিন্দু,বৌদ্ধ খ্রিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের হরিনচড়া ইউনিয়ন শাখার সহ -সভাপতি রামকৃষ্ণ বর্মন, হরিনচড়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মনোরঞ্জন রায়, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ডোমার উপজেলা শাখার স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক জাকারুল ইসলাম (দুখু), হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু ভোলানাথ রায়, যুব ঐক্য পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সহ- সভাপতি দিননাথ রায়, হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ ডোমার উপজেলা শাখার সদস্য লক্ষীরানী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

নীলফামারী জেলা শাখা ও  সহ সভাপতি ক্ষত্রিয় সমিতি রংপুর নিরঞ্জন রায় তার বক্তব্যে বলেন, গত ৮ই জুন সংখ্যালঘুর ব্যানারে মানব বন্ধনে অমরজিৎ সিংহ নিজেকে উপজেলার পূজা উৎযাপন কমিটির ভুয়া সম্পাদক সেজে  মানব বন্ধনে সভাপতিত্ব করেন। 

এবিষয়ে হরিনচড়া মহিলা বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মেহেদী হাসান মুক্তি বলেন, ৭জুন হরিনচড়া বিএম কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সদস্য উমা কান্ত রায়, তার বাসায় আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। আমার হাতে কলেজের গুরুত্বপূর্ণ কাগজ-পত্রের ব্যাগ ছিল, আমি  উমা কান্ত রায়ের বাসায় ঢুকা মাত্র তার স্ত্রীসহ কয়েকজন মিলে আমার হাতে থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। আমি ধস্তা ধস্তি করে ব্যাগটি ছাড়ার চেষ্ঠা করলে তারা আমাকে কিল ঘুসি মারে এবং আমার পরনের শাটটি ছিড়ে ফেলে। পরদিন তারাই আবার আমাকে হেনস্তা করার জন্য সংখ্যা লঘুর উপর হামলার মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করে। আমি গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে সরকারী বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রাপ্ত অধ্যক্ষ। আমি যখন হরিনচড়া মহিলা বিএম কলেজের নিয়োগ প্রাপ্ত অধ্যক্ষ হই তখন কলেজের সভাপতি ছিলেন উমা কান্ত রায়ের  বড় ভাই ললিত রায়। এতদিন কলেজটি নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যথা ছিলনা। এখন কলেজটি এমপিও ভুক্ত হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার , সর্বপরি কলেজটিকে ধংস করার পায়তারা চালাচ্ছে।
 
এ বিষয়ে হরিনচড়া মহিলা বিএম কলেজের সাবেক সভাপতি ললিত রায় জানান, কলেজ  ২০১২সালে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক রেজুলেশন করে মেহেদী হাসান মুক্তিকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তখন থেকে অদ্যবধি সে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছে। এখন কলেজটি এমপিও ভুক্ত হওয়ায় অনেকে কলেজটি ধংস করার জন্য নানা রকম সড়যন্ত্র করছে।
  
এবিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য উমাকান্ত রায় মোবাইলে জানান, এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি ।অভিযোগটি মিথ্যা ।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 2303337504002162215

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item