ডোমারে মৃত গরু জবাইর চেষ্টা
https://www.obolokon24.com/2020/06/Desth-cow.html
নীলফামারীর ডোমারে মৃত গরু জবাই করার চেষ্টাকালে গরুসহ মাংস বিক্রেতা (কসাই)কে আটক করে এলাকা বাসী ।সোমবার সকালে ডোমার পৌর সভার কাঁচা বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে । আজ মঙ্গলবার (২৩শে জুন) ডোমার থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে থানা সুত্রে জানা গেছে । এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে ।
ডোমার পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আখতারুজ্জামান সুমন জানান,"গত রবিবার রাতে ডোমার সদর ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে জিয়ার কাছ থেকে ৩৩ হাজার টাকা মূল্যে অসুস্থ গরুটি মাংস বিক্রেতা (কসাই) এমদাদুল ও মিন্টু কিনেছিল।সুস্থ থাকলে গরুটি ৫০/৬০ হাজার মুল্য হত । বাজারে আনার পরেই অসুস্থ গরুটি মারা যায় ।ডোমার পৌর সভার কাঁচা বাজারে মৃত গরু জবাই করার চেষ্টাকালে বাজারের লোকজন টের পেয়ে আমাকে খবর দেয় ।ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে অবস্থার বেগতিক দেখে কসাই এমদাদুল ও মিন্টু গরু জবাই করার সরঞ্জামাদি ও মৃত গরু সেখানে ফেলে রেখে সটকে পড়ে।'
তিনি উল্লেখ করেন" আমি ঘটনাস্থলে এসে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি)ও নির্বাহী ম্যাজিট্ট্রেট মনোয়ার হোসেনকে বিষয়টি অবগত করি। খবর পেয়ে তাৎক্ষনাত সহকারী কমিশনার(ভুমি)ও নির্বাহী ম্যাজিট্ট্রেট মনোয়ার হোসেন,উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জহিরুল ইসলাম ও পৌর প্যানেল মেয়র এনায়েত হোসেন নয়ন এসে মাংস বিক্রেতা (কসাই) এমদাদুল ও মিন্টুকে না পেয়ে মৃত গরুটি মাটিতে পুতে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেন।আমি এটার কড়া আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি প্রশাসনকে ।'
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি)ও নির্বাহী ম্যাজিট্ট্রেট মনোয়ার হোসেন জানান," মৃত গরু এনে জবাই করার অপরাধে কসাই এমদাদুল ও মিন্টুর নামে ডোমার থানায় নিয়মিত মামলা করতে বলেছি ।'
উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জহিরুল ইসলাম গরুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,বিক্রির সময় ফুট পয়জনিং হওয়ার কারনে গরুটির মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য,ডোমার সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড পল্টনপাড়া গ্রামের মৃত ইছার উদ্দিনের ছেলে এমদাদুল কসাই ও একই ওয়ার্ডের নাওয়া পাড়া গ্রামের ছলেমান এর ছেলে মিন্টু বলে জানা গেছে।এর আগেও এ ধরনের ঘটনায় জনৈক কাউন্সিলর ও কসাই সামিউল জড়িত থাকার ঘটনা ঘটেছিল ।
এ ব্যাপারে ডোমার থানার এস,আই জহুরুল জানান,এখনো মামলা হয়নি ।আসামী ধরা পেলেই মামলা হবে ।#