ডোমারে নিঃসন্তান দম্পতির মানবেতর জীবন যাপন, ঝড়ে বাড়িঘড় ভেঙ্গে খোলা আকাশের নিচে

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে নিঃসন্তান দম্পতির মানবেতর জীবন যাপন, ঝড়ে বাড়িঘড় ভেঙ্গে খোলা আকাশের নিচে বাস করতে দেখা গেছে। অদ্যবধি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছ থেকে কোন সহায়তা না পাওয়ায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেন বৃদ্ধ দম্পতি।
ঘটনাটি, উপজেলার বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের বাগডোকরা ৮নং ওয়ার্ড (খুলখুলি ব্রীজ সংলগ্ন) তেলীপাড়া গ্রামে। সরেজমিনে জানা যায়, উক্ত গ্রামের নিঃসন্তান বৃদ্ধ দম্পতি দিন মুজুর আব্দুল গফ্ফার (৭০) ও তার স্ত্রী জাহিমা বেগম (৬৫)’র গত সপ্তাহে ঝড়ে ও বাতাসে একমাত্র থাকার ছোট ঘড়টি ভেঙ্গে যায়। করোনার কারনে কর্মহী হয়ে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছে। পরদিন প্রতিবেশী কামরুজ্জামান কামুর দেয়া ১০ কেজি চাউল পেয়ে শুধু পাটশাক দিয়ে খেয়ে রোজা রেখে দিন কাটছে তাদের। দেখে অনেক কষ্ট হলো, মানবতার দিতে তাকিয়ে শনিবার বিকালে প্রতিবেদকের নিজস্ব অর্থায়নে ৩কেজি চাউল, ২কেজি আলু, ৫শত গ্রাম মুড়ি ও কিছু ইফতারী দিয়ে সহায়তা করেন, যা দিয়ে কমপক্ষে ৩/৪ দিন খেয়ে রোজা দিতে পাবে তারা। তবে অশ্রæভেজা কান্নার কন্ঠে জাহিমা বেগম বললেন, এটাই তাদের দুঃখ চারিদিকে অনেক মানুষ ত্রান পাচ্ছে কিন্তু এমন অবস্থায় মেম্বার, চেয়ারম্যান বা সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার সহায়তা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন দম্পতি। বয়স্ক ভাতার কথা জানতে চাইলে, তারা বলেন, তাদের নাকি এখনো বয়স হয়নি। সুস্থ থাকাকালীন তার স্বামী দিমুজুরের কাজ করতো, বর্তমানে স্বাসকষ্ট রোগে কাতর হয়ে জীবনের সাথে যুদ্ধ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। মাঝে মধ্যে জাহিমা বেগম মানুষের বাড়িতে কাজ করতো। এখন করোনার কারনে কেউ কাজে নেয় না। আবার অপরদিকে বাড়িঘড় ভেঙ্গেগিয়ে ছোট একটি ডেরা তৈরী করে অতি কষ্টে জীবন যাপন করছে দুজন। এ বিষয়ে সংশিষ্ট বোড়াগাড়ী ইউপি’র ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য রাশেদুজ্জামান রাশেদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ঘড় ভাঙ্গার আগে ২বার ত্রান দেয়া হয়েছে। আর ঘড়ের ব্যপারে চেয়ারম্যান সাহেব তালিকা করেন। পর্বতীতে সুবিধামতে তাদের সু-ব্যবস্থা করা হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8373513822620010047

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item