পাগলাপীরে কাগজী লেবু’র আকস্মিক মৃল্য বৃদ্ধি। রোজাদাররা বেসামাল
https://www.obolokon24.com/2020/05/blog-post_12.html
হাবিবুর রহমান সেলিম, পাগলাপীরঃ রংপুরের ব্যস্ততম বানিজ্যিক বন্দর পাগলাপীরে আকস্মিকভাবে কাগজী লেবু’র ম‚ল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ভ‚ক্তভোগী ক্রেতা সাধারন বিশেষ করে ধর্মপ্রাণ রোজাদাররা বেসামাল হয়ে পরছেন। জানা গেছে, পাগলাপীরের কাঁচা-বাজার নামাহাট সহ পাগলাপীর অঞ্চলের বিভিন্ন হাট-বাজারের ব্যবসায়ীরা দুই সপ্তাহ প‚র্বে যে কাগজী লেবু’র হালী ১০-১২ টাকা দরে বিক্রি করেছিলেন এখন ম‚ল্য বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা সেই কাগজী লেবু’র হালী ৩০-৪০ টাকা দরে বিক্রি করতেছেন। সরেজমিনে, পাগলাপীরের কাঁচাবাজার নামাবাজারের ব্যবসায়ীরা সাংবাদিককে বলেন, ডাল সিজেন আমদানী কম থাকায় কাগজী লেবু’র ম‚ল্য একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ভ‚ক্তভোগী ক্রেতা সাধারন সহ রোজাদাররা বলছেন ভিন্ন কথা। পাগলাপীরের হরকলি গ্রামের আব্দুর রহিম, গোকুলপুর চওড়াপাড়ার আল-আমিন, চেরকাপাড়ার মঞ্জুর আলী, বিড়াবাড়ীর সজল, রোকন ও অপু ক্লাসিক কাউন্টারের ম্যানেজার শেখ সেলিম সহ অঞ্চলের ভ‚ক্তভোগী ক্রেতা সাধারন রোজাদাররা অভিযোগ করে সাংবাদিককে বলেন, এখন পাগলাপীর সহ দেশজুড়ে চলছে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় অব্যাহত লকডাউন, তার উপর আবার পবিত্র মাহে রমজান মাস হওয়ায় হাট-বাজারে কাগজী লেবু’র আমদানী কম হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট সৃষ্টি করে কাগজী লেবু’র ম‚ল্য দ্বিগুণেরও বেশী বাড়িয়ে দিয়েছে। কেননা কাগজী লেবু করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ঔষধী হিসেবে কার্যকর এবং রোজা ভাঙ্গার প‚র্বে সরবত হিসেবে প্রয়োজন। তাই ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে দ্বিগুণ ম‚ল্য বাড়িয়ে ক্রেতাদেরকে জিম্মি করে বিক্রি করছেন কাগজী লেবু। এমনও অভিযোগ উঠছে পাগলাপীরের কাঁচা-বাজার নামাবাজার ও হরকলি’র হাট সহ অঞ্চলের বিভিন্ন হাট-বাজারে ব্যবসায়ীরা যে কাগজী লেবু বিক্রি করতেছে তা একেবাড়েই অপরিপক্ক যা চিপলে কোন রস বের হয় না। আবার এমনও শোনা যাচ্ছে, ব্যবসায়ীরা একটি কাগজী লেবু’র ম‚ল্য ১০ টাকা হওয়ার কারণে জম্মুরার কড়ি কাগজী লেবু হিসেবে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন।