সৈয়দপুরে আর্থিক প্রণোদনা চেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পোল্ট্রি ডিলারদের ইউএলও বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান
https://www.obolokon24.com/2020/05/Saidpur_32.html
বৈশ্বিক মহামারি প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ নীলফামারীর সৈয়দপুরে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা আর্থিক প্রণোদনা চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। রবিবার সৈয়দপুর পোল্ট্রি ডিলার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার (ডিএলও) বরাবরে ওই স্মারকলিপি দেয়া হয়।
দুপুর ১২টায় সৈয়দপুর পোল্ট্রি ডিলার এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি দিতে উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসারের কার্যালয়ে যান। এ সময় তারা করোনা ভাইরাসের প্রভাবে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আর্থিক প্রণোদনা জন্য একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রাশেদুল হক সৈয়দপুর পোল্ট্রি ডিলার এসোসিয়েশনের স্মারকলিপিটি গ্রহন করেন। এ সময় তিনি সংগঠনটির দেওয়া স্মারকলিপিটি যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পৌঁছানোর উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান।
স্মারকলিপি প্রদানকালে সৈয়দপুর পোল্ট্রি ডিলার এসোসিয়েশনের সভাপতি পলাশ পোল্ট্রি ফিডের স্বত্তাধিকারী মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক মেসার্স হিমেল ট্রেডার্সের মালিক মো. আতিয়ার রহমান, কোষাধ্যক্ষ মীম পোল্ট্রি ফিডের প্রোপ্রাইটার মো. মনজুরুল ইসলাম, সদস্য মেসার্স স‚চনা এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত¡াধিকারী মো. মিজানুর রহমান লিটন ও সঞ্জিদা পোল্ট্রির মালিক মো. ইমতিয়াজ প্রম‚খ উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দপুর পোল্ট্রি ডিলার এসোসিয়েশনের দেওয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সারাদেশের মতো সৈয়দপুর উপজেলার প্রায় তিন শত পোল্ট্রি খামারীরা তাদের খামারে ডিম ও মুরগী উৎপাদন করে দেশের প্রাণীজ আমিষের চাহিদা প‚রণে গুরুত্বপ‚র্ণ ভ‚মিকা পালন করে আসছিলেন। আর খামারীদের খামারে বিভিন্ন কোম্পানীর উৎপাদিত মুরগীর বাচ্চা ও পোল্ট্রি ফিড সরবরাহ করে আসছিলেন সৈয়দপুর পোল্ট্রি ডিলাররা। কিন্তু চলমান করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বর্তমানে পোল্ট্রি ব্যবসায় ধস নেমেছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে তাদের দোকানপাট বন্ধ থাকায় ডিলাররা সময়মতো পোল্ট্রি খামারীদের পোল্ট্রি ফিড সরবরাহ করতে পারেন নি। এতে খামারে ডিম ও মুরগী উৎপাদনে চরম বিঘেœর সৃষ্টি হয়। এছাড়াও খামারে উৎপাদিত ডিম ও মুরগী যথাসময়ে বিক্রি করতে না পেরে অনেক পোল্ট্রি খামারে উৎপাদিত ডিম নষ্ট এবং মুরগী মরে যায়। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতিতে খামারে উৎপদিত ডিম ও মুরগী কমম‚ল্যে লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে বাধ্য হন। ফলে পোল্ট্রি ডিলার ও খামারীরা মারাত্মক ক্ষতি সম্ম‚খীন হয়েছেন। তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকার বেশি হবে। যদিও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে তারা ঋণ নিয়ে পোল্ট্রি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। বর্তমান অবস্থায় তারা অনেকেই ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। ব্যাংকও তাদের আর ঋণ সুবিধা দিবে না। এ অবস্থায় তাদের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তারা সরকারেে কাছে প্রণোদনার দাবি জানান।