নীলফামারীতে ত্রানের দাবিতে সড়ক অবরোধ


নীলফামারী প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাসের প্রভাব এখনও কাটেনি। কবে কাটবে তার নিশ্চিয়তাও নেই। শহর গ্রাম লকডাউন। জরুরী কাজে মানুষজন বের হলেও রিক্সায় উঠছেনা। জেলায় করোনা রোগী ৩৩ জন। সরকারি ত্রান না পাওয়ার অভিযোগ তুলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে এক হাত দেখিয়ে দিয়ে ঘন্টাখানের সড়ক অবরোধ করে নীলফামারী শহরের শতশত রিক্সা চালক।
আজ বুধবার সকাল ১০ টা হতে ১১ টা। শহরের কালিবাড়ি মোড় হতে প্রধান সড়কে শতশত রিক্সা ওয়ালা রিক্সা নিয়ে সড়ক অবরোধ করে ত্রানের দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকে। আর এতেই টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের। ছুটে আসেন সকলে।
অসহায় রিক্সাচালকরা কথা বলতে ছাড়েননি কাউকেই। এমন কি রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদেরকেও এক হাত দেখিয়ে দেয়। সমিতির নামে টাকা জমার নেই কোন হিসাব। জমা টাকা থেকে ঋণ চেয়েও নেতারা দেয়নি। রিক্সাচালকদের অভিযোগ সরকার অনেক ত্রান বরাদ্দ দিলো সেই ত্রান গেল কই।
রিক্সাচালকদের সড়ক অবরোধে সকল ধরণের জরুরী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে শহরে।খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন নীলফামারী পৌরসভার চেয়ারম্যান দেওয়ান কামাল আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিনা আখতার। পরে তাদের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন রিকসা চালকরা।
রিকসা চালকদের অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়ে খাদ্য সংকটে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। এরপরও কোন ত্রাণ পৌঁচছে না তাদের কাছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করলে শুধুমাত্র আশ্বাস মিলেছে।
জেলা শহরের সরকারপাড়া গ্রামের রিকসাচালক আব্দুস সালাম (৪৫) বলেন,“করোনা সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে আমাদের খাদ্য সংকট শুরু হয়। পরিবার চালাতে ঝুঁকির মধ্যেও নিরুপায় হয়ে রিকসা নিয়ে রাস্তায় বের হলে কোন যাত্রি পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় পৌরসভা থেকে পাঁচ কেজি চাল পেয়েছি আমি। সেটি দিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার চলবে কতদিন” ?
অপরদিকে জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া গ্রামের রিকসা চালক রেজাউল ইসলাম (৩৫) বলেন,“আমি শহরে বিকসা চালিয়ে জীবীকা নির্বাহ করি। ইউনিয়নের বাসিন্দা হওয়ায় চলমান সংকটে পৌরসভার সহযোগিতা যেমন পাচ্ছিনা, তেমনি ইউনিয়ন পরিষদ থেকেও সহযোগিতা পাইনি”।
এবিষয়ে নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন,“শহরে যারা রিকসা চালায় তারা বেশীরভাগই পৌর এলাকার বাইরের। তাদেরকে বলা হয়েছে তালিকা করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের হাতে দেওয়ার। সেখানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। তালিকা দেখে তারা সহযোগিতার আশ্বস্ত করেছেন। পাশাপাশি পৌর এলাকার রিকসা চালকদের তালিকা করে সহযোগিতা প্রদানের কাজ অব্যাহত আছে”।
আজ বুধবার স্থানীয় প্রশাসনের প্রকাশিত এক রির্পোটে দেখা যায় সরকারি ভাবে কয়েক দফায় নীলফামারী জেলার জন্য চাল বরাদ্দ আসে এক হাজার ৩০০শত মেট্রিক টন, এরমধ্যে বিতরন করা হয় ৯০৯ মেট্রিক,মজুদ ৩৯১ মেট্রিকটন। নগদ অর্থ বরাদ্দ আসে ৭২ লাখ। বিতরন করা হয় ৫৩ লাখ ৫৮ হাজার। মজুদ রয়েছে ১৮ লাখ ৪২ হাজার টাকা। শিশু খাদ্যের জন্য বরাদ্দ আসে ১৮ লাখ টাকা। বিতরন করা হয় ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৪শত টাকা। মজুদ রয়েছে ৪ লাখ ৬শত টাকা। বিতরন যোগ্য উপকারভোগীদের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৯০ হাজার ৯শত ও শিশু খাদ্য পেয়েছে ৩ হাজার ৫৫৩ জন।#

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1152850929573284837

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item