পঞ্চগড়ে গ্রাম্য সালিশ, অত:পর কিশোরের আত্মহত্যা


মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড় সদর উপজেলাধীন গ্রাম্য সালিশে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধরের শিকার হয়ে মো: খয়রুল ইসলাম (১৭) নামের এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ ২৪ এপ্রিল/২০২০ সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছেন। 

ঘটনাটি ২৩ এপ্রিল/২০২০ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের সোনারবান এলাকার বাঁশবাড়ি গ্রামে ঘটেছে। খয়রুল ঐ এলাকার মো: আব্দুর রশিদের ছেলে। 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানা গেছে, নিহত কিশোর খয়রুল ইসলাম ওই এলাকার অপ্রাপ্ত এক শিশুকে প্রেম নিবেদন করায় ওই গ্রামের প্রভাবশালী কিতাব আলী, মো: জাকের আলী, ওসমান আলী, হাসেন আলী, দেলওয়ার হোসেন ও ঐ গ্রামের মৃত ইবরাহিম আলীর ছেলের নেতৃত্বে স্থানীয় ওয়াক্তিয়া মসজিদের সামনে সালিশি বৈঠক বসে। দীর্ঘক্ষন পরস্পর বিরোধী কথাবার্তা শোনার পর কিতাব আলীর রায়ে নিহত খয়রুলকে দোররা মারার সিদ্ধান্ত হয়। নিহত খয়রুলের বাবা আব্দুর রশিদ নিজ সন্তানকে শাসনের জন্য তাঁর পায়ের জুতা খুলে শাসন করে। এসময় উপস্থিত গ্রাম্য মাতব্বরদের বিচার সন্তোষজনক না হওয়ার দাবি এনে পুণরায় নিজেরাই তাকে দোররা মারে। দোররা মারা কালীন মাতব্বর দেলওয়ার হোসেন নিহত খয়রুলের বুকে বরাবর লাথি মেরে ফেলে দেয় এবং বলতে থাকে এই লজ্জার চেয়ে তোর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করাই ভাল। এ কথা শোনার সাথে সাথে খয়রুল সালিশ ত্যাগ করে তার নিজ ঘরের ধন্যার সাথে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। 
খয়রুলের মৃত্যুর খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: নুরুজ্জামান নুরু। তিনি বলেন, ‘শালিসি বৈঠকের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা, তবে আত্মহত্যার পর খবর পেয়েছি। 
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আক্কাস আহমেদ আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পুরোনো সংবাদ

পঞ্চগড় 5387690363888125037

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item